আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে সেটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। বিএনপিসহ তাদের মিত্র দলগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাইলেও জামায়াতসহ অন্যান্য দল সরকারকে কিছুটা সময় দেওয়ার পক্ষে। জামায়াতে ইসলামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে। এবার দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচন যেন এপ্রিল মাসের পরে না যায়। তখন সময়টা নির্বাচনের জন্য উপযোগী নয়।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর বনানী শেরাটন হোটেলে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দলীয় অবস্থান তুলে ধরেন।
জামায়াত আমির বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান এর আগেও পরিষ্কার করেছি। নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে পারে। রোজার আগে আগে। কোনো কারণে যদি এসব শর্ত পূরণ করতে গিয়ে দেরি হয়ে যায় সেক্ষেত্রে এপ্রিল পার না হওয়াটা ভালো হবে। কারণ মে মাস থেকে আমাদের দেশের আবহাওয়া ক্রমাগত খারাপের দিকে যেতে থাকে। এটা নির্বাচনের জন্য কোনো উপযুক্ত সময় হবে না।
জামায়াত আমির আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা একটা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। ডিসেম্বর টু জুন। ডিসেম্বরের ২৫ থেকে জুন ২৬ এর মধ্যে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা ) নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে। আমরা আমাদের মতামত ব্যক্ত করেছি। তবে সময় বেঁধে দেওয়ার কোনো অধিকার আমরা রাখি না।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা নির্দিষ্ট করে যদি বলেই দিই তবে সেটা সিদ্ধান্ত পর্যায়ে চলে যায়। সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। আমরা আমাদের মতামত জানাতে পারি। সিদ্ধান্ত না।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এখনই আশা-নিরাশার কথা বলতে চাচ্ছি না। আমরা তাদের (নির্বাচন কমিশন) পারফরম্যান্স আরও দেখতে চাই।
দলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, তাদের নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা আমরা করিনি। তবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আমরা চিন্তা করব। জীবন বাজি রেখে যারা দেশ পরিবর্তনের জন্য লড়াই করেছিলেন, তাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিজমকে বিদায় করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিয়েছে, ফ্যাসিজম রয়ে গেছে। এর কালো ছায়া এখনো জাতির কাঁধে রয়ে গেছে। এটি দূরীকরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
আমার বার্তা/জেএইচ