ই-পেপার রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের লোকসভা নির্বাচন ও মোদির ক্ষমতার ব্যাপ্তি

রায়হান আহমেদ তপাদার:
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৭

ভারতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের সমর্থনে এবং তাঁদের নিজেদের তুলে ধরতে সংবাদ মাধ্যম গুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। বিরোধীরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যম গুলো এ ধরনের বক্তব্য প্রচারে উদ্যোগ নিচ্ছে, বিরোধীরা দুর্বল, প্রধানমন্ত্রী এখনো জনপ্রিয় এবং তিনি বা বিজেপির কোনো বিকল্প নেই। কোনো স্বাধীন সংবাদ সংস্থা অথবা নিউ মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যদি সরকারি বয়ানের বাইরে গিয়ে কিছু বলে, সরকারের তরফ থেকে সেগুলো হামলা ও হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছে। সরকারের সমালোচক বহু জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে অথবা ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী লড়াইয়ে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা ব্যবহার করা হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রীসহ বিজেপি নেতারা সাম্প্রদায়িক ভাষা ব্যবহার করা শুরু করেন।প্রধানমন্ত্রী মোদি কংগ্রেসকে এই বলে আক্রমণ করেন যে দলটির নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিটি পৃষ্ঠা মুসলিম লীগের ছাপ বহন করে। এ ছাড়া বিজেপি নেতারা তাঁদের সব বক্তব্য ও বিবৃতিতে বিরোধী দলগুলোকে রামবিরোধী বলে নিন্দা করছেন এবং তাঁদের একটি শিক্ষা দেওয়ার জন্য জনগণকে আহ্বান করেছেন।যাইহোক, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুরু হয়েছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সহজ জয় পাবে বলে অনেকেই বলছেন। তবে বিজেপির এবারের টার্গেট ৪০০-এর বেশি আসন পাওয়া। সেটা সম্ভব হবে কি না, তাই দেখার বিষয়। যদিও এত নিরুত্তাপ লোকসভা ভোট ভারতে আগে হয়নি। এমনও হয়নি, ভোট শুরুর আগেই সংসদে প্রধানমন্ত্রী আগাম জয় ঘোষণা করছেন।

শুধু কি তাই? ৪০০-র বেশি আসনে জিতে এনডিএ জোট ক্ষমতায় আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিদিন তা মনেও করিয়ে দিচ্ছেন। বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে এমন নিশ্চিন্তে এত কঠিন ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ভোটের মোকাবিলা আগে কাউকে করতে দেখা যায়নি। ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও নরেন্দ্র মোদি এত নিরুদ্বিগ্ন। মোদি নিজেকে এই অবস্থানে নিয়ে যেতে পেরেছেন অনেকগুলো কারণে। এমন প্রশ্নহীন আনুগত্য বিজেপির কেউ কখনো অর্জন করেননি। জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তিতেও তাঁর কাছাকাছি নেই কেউ। এটা মুদ্রার এক পিঠ হলে অন্য পিঠে রয়েছে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো নেতার অনুপস্থিতি। ক্ষমতার ব্যাপ্তি ঘটানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রযন্ত্রকে মুঠোবন্দী করার দক্ষতাতেও তিনি অদ্বিতীয়।গণতন্ত্রের চতুর্থ পিলার গণমাধ্যমকেও এভাবে কেউ নিয়ন্ত্রণ করেননি।সাংবিধানিক স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো মোদির মুখাপেক্ষী। এই অদৃশ্যপূর্ব প্রশাসনিক দক্ষতার সঙ্গে হিন্দুত্ববাদ মিশিয়ে তিনি যে ধর্মীয় রাজনৈতিক ন্যারেটিভ তৈরি করেছেন, বিরোধীকুল তার সামনে অসহায়। এবারের নির্বাচন এতটাই একপেশে যে খোদ প্রধানমন্ত্রীই বলেছেন, বিদেশিরাও বলাবলি করছে মোদির ফিরে আসার কথা। না হলে তারা এভাবে আমার সফরসূচি তৈরির জন্য পীড়াপীড়ি করত না। তাছাড়া ক্ষমতার ব্যাপ্তি ঘটানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রযন্ত্রকে মুঠোবন্দী করার দক্ষতাতেও মোদি অদ্বিতীয়। জোট বেঁধে (এনডিএ) ক্ষমতায় এলেও ধীরে ধীরে জোটসঙ্গীদের কোণঠাসা করেছেন মোদি।হিন্দুত্ববাদের রমরমা হিন্দি বলয়ে বাড়তি দু-চারটি আসন পেলেও মোদির পক্ষে ৪০০ পেরোনো কঠিন। নরেন্দ্র মোদি যে কাজগুলো নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন। তা হল, নিজেকে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছেন। দলের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জারদের একে একে নিষ্ক্রিয় করেছেন। গোষ্ঠীতন্ত্রকে মাথাচাড়া দিতে দেননি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘকে বশীভূত করে নিজের কর্তৃত্ব স্থাপন করেছেন।বিজেপি ও সংঘের ইতিহাসে এটা বিরল।

এমনকী বিরোধীদের জোটবদ্ধ হতে দেননি। এই কাজটা করেছেন রাষ্ট্রযন্ত্রের নিপুণ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে।ইডি, সিবিআই, এনআইএর মতো তদন্তকারী সংস্থার পাশাপাশি ভিজিল্যান্স কমিশন ও আয়কর বিভাগকে তিনি ব্যবহার করেছেন বিরোধীদের ছাড়া ছাড়া রাখতে; সন্ত্রস্ত রাখতে। ফলে এই প্রথম উত্তর প্রদেশের ভোটে বহুজন সমাজ পার্টি এলেবেলে। মায়াবতী রাজনৈতিক অস্তাচলে। অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন হম্বিতম্বিহীন। তেলেঙ্গানায় বিআরএসের মুখে কুলুপ।পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস ইন্ডিয়া জোটের শরিক হয়েও নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। শীর্ষ নেতাদের জেলযাত্রা ঠেকানোর চিন্তায় মশগুল। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা ও এনসিপি ছত্রাখান। আম আদমি পার্টি ও ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার মূল চিন্তা ভোট নয়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও হেমন্ত সোরেনের জামিন। কংগ্রেসের অবস্থা নাবিকহীন জাহাজের মতো। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও সামাজিক গরিমা হারানো একান্নবর্তী পরিবারের হাল যেমন হয়, ঠিক তেমনই। ফলে বিজেপির সামনে এক ধু ধু ফাঁকা মাঠ। ভোটের চালচিত্রও তাই এত অনুজ্জ্বল। তবু চিন্তা, তবু উদ্বেগ, যদিও অনুচ্চারিত! তা হলে কি ভোট শুরুর আগেই চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়, মোদি-সৃষ্ট স্লোগান সত্যি হয়ে বিজেপি ৩৭০ ও জোট ৪০০ আসন জিতবে? ১৯৮৪ সালে ইন্দিরার মৃত্যুর পর যে সম্মান জুটেছিল রাজীব গান্ধীর! জটিলতা এখানেই। ভোট আঙিনার এমন অসমান হাল, গণমাধ্যমের এত অবিরাম স্তুতি ও এমন গগনচুম্বী প্রচার সত্ত্বেও বুক ঠুকে বলা যাচ্ছে না মোদি হ্যাটট্রিক করে নেহরুকে ছুঁলেও ৪০০-র গণ্ডি পেরোতে পারবেন কি না। সংশয় জিইয়ে থাকছে কারণ, ২০১৯ সালে গণরায়ের ইলাস্টিক এতটাই টান টান যে বাড়ানোর উপায়ই আর নেই। উত্তর, মধ্য ও পশ্চিম ভারতে বিজেপির প্রাপ্তির ঘর প্রায় কানায় কানায় ভরা। হিন্দুত্ববাদের রমরমা এই হিন্দি বলয়ে বাড়তি দু-চারটি আসন দিলেও মোদির পক্ষে ৪০০ পেরোনো কঠিন।

সেই অসম্ভব সম্ভব হয় কি না, সেটাই সম্ভবত এবারের ভোটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। অন্যান্য রাজ্যেও বিজেপির ছবিটা ছিল যথেষ্টই উজ্জ্বল। যেমন মহারাষ্ট্র। সেখানে ৪৮ আসনের মধ্যে বিজেপি ও শিবসেনা পেয়েছিল ৪১। কর্ণাটকের ২৮ আসনের মধ্যে জিতেছিল ২৫টি। এবারের চালচিত্র এই দুই রাজ্যে ফিকে। প্রচারের তীব্রতায় উজ্জ্বল পশ্চিমবঙ্গ। গতবার বিজেপি জিতেছিল ১৮টি, এবার আরও ৪-৫ আসন বাড়তি পাবে বলে তাদের আশা। ভালো ফল করা ১১ রাজ্যের সঙ্গে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও পশ্চিমবঙ্গকে ধরলে মোট আসন ৩৬৭টি। এর মধ্যে সহযোগীদের নিয়ে বিজেপি জিতেছিল ৩১৩ আসন। ৪০০ পার করতে হলে বাড়তি প্রয়োজন আরও ৮৭টি। আসামসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মোট ২৫ আসনও যদি সঙ্গ দেয়, তা হলেও ৪০০ পার করতে দরকার আরও ৬০-৬২ আসন। আসবে কোত্থেকে? দাক্ষিণাত্য ছাড়া গতি নেই, তাই সেঙ্গল বিজেপির ইলেকশন মেশিনারি বারো মাস চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করে। অন্যরা জেগে ওঠার আগেই তাদের ভোর হয়। আগেরবার ভোটের ফল দেখেই মোদি অ্যান্ড কোং বুঝেছিল, ২০২৪ সালে হ্যাটট্রিক করতে গেলে বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণে তাকাতে হবে। সংঘ-বিজেপির পরিকল্পনায় তাই শুধুই দাক্ষিণাত্য। জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে তামিল ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে একাকার করে তিনি তামিল জনতার মন জিততে চেয়েছেন। উপলব্ধি, তামিলনাড়ুর ৩৯ আসনের সিংহভাগ না জিতলে স্বপ্ন অধরা থাকতে পারে। তামিলনাড়ু ছাড়া দক্ষিণি রাজ্য কেরালায় রয়েছে ২০টি আসন। কংগ্রেস ও বাম জোটের মধ্যেই তা ঘোরাফেরা করে। বিজেপির ভাগে জোটে না। কর্ণাটক বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর বাঁচার তাগিদে বিজেপি ও জেডিএস হাত মিলিয়েছে। একই রকম জোট বিজেপি বেঁধেছে অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির সঙ্গেও। জোট বেঁধে (এনডিএ) ক্ষমতায় এলেও ধীরে ধীরে জোটসঙ্গীদের কোণঠাসা করে দিয়েছিলেন মোদি। একে একে পুরোনো জোটসঙ্গীরা তাঁকে ছেড়ে গেছে।

শিবসেনা ও শিরোমণি অকালি দলের মতো পুরোনো শরিকেরা বুঝেছিল, বিজেপির সঙ্গ মানে সম্মান হারিয়ে কোনোক্রমে টিকে থাকা। সেই বিজেপি হঠাৎ বিরোধীদের জোটবদ্ধতায় তৎপর হতে দেখে নতুন করে হাতে হাত মেলাতে উদ্যোগী হয়। নীতীশ কুমারের জেডিইউকে টানার আগেই তারা জোট ভারী করে শিবসেনা ও এনসিপিকে ভাঙিয়ে।পুরোনো মিত্র জেডিএস ও টিডিপিকে কাছে টানে। উত্তর প্রদেশের আপনা দলকে ধরে রাখার পাশাপাশি টেনে আনে জাট সমর্থনপুষ্ট রাষ্ট্রীয় লোকদল ও অনগ্রসরদের সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টিকে। তারা জানে, বিন্দু বিন্দুতেই সিন্ধু হয়। উত্তর প্রদেশে বাড়তি জেতার জন্য রয়েছে ১৬টি আসন। অথচ ইন্ডিয়া জোট সেভাবে দানা বাঁধল না। এর একটা কারণ নড়বড়ে শরিকদের ওপর বিজেপির প্রবল চাপ সৃষ্টি, অন্য কারণ নিজের খাসতালুকে ত্যাগ স্বীকারে অনীহা। এই দুই কারণে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটে থেকেও একা। মহারাষ্ট্রে প্রকাশ আম্বেদকরের দল বঞ্চিত বহুজন আগাঢ়ির আলাদা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত। গুপকর জোটের শরিক হয়ে বিজেপির মোকাবিলা করেও কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিডিপি আসন সমঝোতায় ব্যর্থ।আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগসহকারে এ সবকিছু দেখছে। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি এমন একটি বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেছেন যেখানে বলা হয়েছে, ভারতে জনগণের রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত এবং মুক্ত ও স্বাধীন পরিবেশে সবাই ভোট দিতে পারে। যে পথে বর্তমানে ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে,তাতে নির্বাচন শুরু হওয়ার পর জাতিসংঘের এই বিবৃতিটি যে কারও জন্য একমাত্র আশা। একেবারে শুরু থেকেই সরকার এবং তাঁর সমর্থকেরা খোলাখুলি ভাবে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে এই ধারা পরিবর্তন করার কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

কিন্তু কে তাঁদের এসব কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করবে এবং ভারতীয় গণতন্ত্রকে বিদ্রূপ করার বিষয়ে আপত্তি জানাবে? প্রধানমন্ত্রীর নিজেরই নিয়োগ করা নির্বাচন কমিশন কিছু করবে-সত্যিকারভাবে কেউই সেটা প্রত্যাশা করে না। আসন্ন নির্বাচন ভারতে গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা স্পষ্ট, দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা জনগণের পক্ষে নয়, বিজেপির পক্ষে কাজ করবে এবং সংবাদমাধ্যম গুলো বর্তমান সরকারের প্রচারমাধ্যম হিসেবে ভূমিকা নিয়েছে। বিরোধী দলগুলোর হাত-পা বাঁধা। এ রকম অবস্থায় একমাত্র ভরসা হলো ভারতীয় জনগণ, যাঁরা দেশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গণতন্ত্রের জন্য নিরলসভাবে লড়াই করেছেন এবং এর মূল্য খুব ভালো করেই জানেন। আশা করি, তাঁরা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পারবেন এবং তাঁদের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার করবেন। সেটা হলো ভোট; দ্রুতগতিতে ভারতের গণতন্ত্রের পশ্চাদ পসরণ বন্ধ করতে যা তাঁরা ব্যবহার করবেন। যদি তা না হয়, তাহলে আসন্ন ভারতীয় নির্বাচন হবে ইতিহাসের একটি প্রহসনমূলক নাটক, যা শুধু মোদি এবং তার দলকে খুশি করার জন্য, নতুনভাবে বৈধতা প্রদানের জন্য, যেটা স্বৈরশাসক আলাদিনের অলিম্পিক গেমসের থেকে খুব বেশি আলাদা নয়। গত এক দশকে ভারতের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, ছাত্রবিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী,স্বাধীনচেতা সংবাদ সংস্থা,স্বতন্ত্র সাংবাদিক, মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে দমন করার অভিযোগ উঠেছে। তবে এত কিছুর পরও ভারতের গণতান্ত্রিক চেতনা একেবারে মরে যায়নি। তবে এত কিছুর পরও ভারতের গণতান্ত্রিক চেতনা একেবারে মরে যায়নি। এখনো দেশটির নাগরিকেরা অত্যন্ত সরবভাবে রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িত আছেন এবং তাঁরা তাঁদের অধিকারের পক্ষে প্রচার চালাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেটাই দেখার বিষয়।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

আমার বার্তা/রায়হান আহমেদ তপাদার/এমই

যুগে যুগে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের বর্ণবাদী আচরণ

যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের বর্ণবাদী আচরণ নতুন নয়। ২০২০ সালে পুলিশি নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক

নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস, শান্তির অভয়বাণী শুনাইছে ব্যর্থ পরিহাস

আদিকাল থেকেই ইহুদীদের সাথে মুসলমানদের ঘোর শত্রুতা  অব্যাহত। ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক আমাদের মহানবী হযরত মোহাম্মদ

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস

প্রতি বছর ১ মে  পালিত হয় 'আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস' বা 'মে দিবস'। শুধুমাত্র আমাদের দেশেই

ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা

পয়লা মে, মহান মে দিবস। সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দিবসটি পালন করা হয়।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আ.লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না: কাদের

জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেট

জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর গাড়িতে অতর্কিত হামলা

শাহজাহানপুরে স্বামীর সঙ্গে অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা

সবুজ কারখানা নিয়ে নেতৃত্বে বাংলাদেশ

টানা ৮ দফা কমার পর ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম

এই গরমে ত্বকের যত্নে সচেতন হোন

রোববার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা

উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে ইসির নির্দেশনা

সুন্দরবনে আগুন, নেভাতে কাজ করছে বনবিভাগ-গ্রামবাসী

বাড্ডায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, কথিত স্বামী পলাতক

জিম্মি চুক্তিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যেকোনো সময়

স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমাবেশের ডাক ছাত্রলীগের

উত্তরায় লেক থেকে ২ স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

বনের গাছ কাটছেন কর্মকর্তারা, বাধা দিলেই মামলার হুমকি

বিএনপির আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার

দিনমজুর ও পথচারীদের মাঝে বিজেএ'র সভাপতির শরবত বিতরণ

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তিতে যাত্রীরা

উদ্যোক্তারাই দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ঋণগ্রস্তের হতাশায় গলায় ফাঁস দিয়ে রিকশা চালকের মৃত্যু