ই-পেপার শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ইরান-ইসরায়েল রণকৌশল ও পশ্চিমাদের উদ্বেগ

রায়হান আহমেদ তপাদার:
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৮

সম্প্রতি ইসরায়েলে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার পর মধ্যপ্রাচ্য বৃহত্তর সংঘাতের একেবারে দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে। চলমান এই সংকটের মধ্যে নেতানিয়াহু ও তাঁর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের কথা ভুলে গেলে চলবে না। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এক দশকের বেশি সময় ধরে ইরানের সঙ্গে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। হত্যা ও হামলার বহু ঘটনা ঘটিয়েছেন। পরমাণু বিজ্ঞানী ও ইরানের ভাড়াটে বাহিনীর সৈন্যদের খুনের দায় স্বীকার না করলেও গুপ্ত হত্যা চলেছে অবাধে। কিন্তু ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের এই তালিকার ব্যাপ্তি আরও বেড়েছে। উদাহরণস্বরূপ ইরানের জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ রাজি মৌসাভি দামেস্কে খুন হন।ইরানের প্রতিক্রিয়া তখনো ছিল পরোক্ষ ও দুর্বল। সিরিয়ার রাজধানীতে ইরান দূতাবাসের বর্ধিত অংশে বোমা হামলার পর দেশটির প্রতিক্রিয়ার ধরন বদলে দেয়। ওই হামলায় দেশটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা খুন হন। সার্বভৌমত্বে নির্লজ্জ আঘাত হানার জন্য ইরান ইসরায়েলকে দায়ী করেন। ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ চলছে। আরও বড় পরিসরে এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হবে কি না, সেই সমীকরণ মেলাতে এখন ব্যস্ত সবাই। আপাত এই সংক্ষিপ্ত হামলা ও পাল্টা হামলায় কার কতটুকু লাভ বা ক্ষতি হলো, তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা। আসলে এই যুদ্ধ কোন দিকে মোড় নেবে,তা বলা মুশকিল। কারণ, এই যুদ্ধ এখন আর ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর সঙ্গে এখন প্রতিবেশী দেশগুলো ছাড়াও বিশ্বমোড়লেরা জড়িয়ে পড়েছেন। ইরান-ইসরায়েলের সামরিক হামলা ও কথার যুদ্ধের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, তুরস্কসহ আশপাশের সব দেশই এই যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছে। কেউ হুমকি দিয়েছে। কেউ শান্তি বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে। আপাতত ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধ মনে হলেও অনেক দেশই এই যুদ্ধে ইতিমধ্যেই নানাভাবে জড়িয়ে পড়েছে।

ইরান বহু বছর ধরেই ইসরায়েলের ঘোরতর শত্রু ও সম্ভাব্য ধ্বংসকারী হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এখন প্রশ্ন হলো, ইসরায়েল যে তাৎপর্যপূর্ণ জবাব দেওয়ার কথা বলছে, তার ধরন কী হবে। ইরানও পাল্টা হামলা চালাবে কি না, সেই প্রশ্নও আছে জনমনে। ইসরায়েলি মন্ত্রী বেনি গানজ তো বলেছেন, আঞ্চলিক জোট গঠন করে ইসরায়েল ইরানে হামলা চালাবে,সময় ও ইচ্ছেমতো। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ইসরায়েলের অন্য মিত্রদেশগুলোর উচিত নেতানিয়াহুকে সোজাসুজি বলে দেওয়া যে সামরিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক যে সমর্থন, সেটি শর্তসাপেক্ষ। শুধু বৈধ এবং সমানুপাতিক প্রতিক্রিয়া দেখালেই এই মিত্রদের ইসরায়েল কাছে পাবে। ইসরায়েল যদি পাল্টা আক্রমণ না করে, সেটাই সবচেয়ে ভালো।এই যুদ্ধের বিভিন্ন দিক নিয়ে যদি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ইরানের ইসরায়েলে হামলা না করে উপায় ছিল না। দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েল ইরানকে নানাভাবে উসকানি দিচ্ছিল। ইরানের অভ্যন্তরে একাধিকবার গুপ্ত হামলা করেছে তারা। ইসরায়েল ইরানের বেশ কয়েকজন পরমাণুবিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে বলে ইরান অভিযোগ করেছে। এ ছাড়া ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের বেশ কিছু কৌশলগত স্থাপনায় হামলা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রও হামলা করেছে এসব স্থানে। যে কারণে ইরান পাল্টা হামলা করেছে।এমন না যে ইরান আগ বাড়িয়ে হামলা করেছিল। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। ইসরায়েলের সব থেকে বড় ব্যর্থতা হচ্ছে, অনেক চেষ্টা করেও এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি এই যুদ্ধে যুক্ত করতে পারেনি। ইসরায়েলকে রক্ষার অঙ্গীকার করলে যুদ্ধে যুক্ত হতে বা ইরানে হামলা করতে যুক্তরাষ্ট্র অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সম্ভবত এ কারণেই এই যুদ্ধ আর না-ও বাড়তে পারে। মানে বড় ধরনের যুদ্ধ সম্ভবত হতে যাচ্ছে না। আজ থেকে ২০ বছর আগে হলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মিলে ইরানকে কবজা করে ফেলত।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ হামলার মুখে ইরান টিকতে পারত না। দুটি জিনিস যুক্তরাষ্ট্রকে এই যুদ্ধ থেকে বিরত রাখতে পারে। আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়ায় দীর্ঘ যুদ্ধের ধকল টানতে টানতে যুক্তরাষ্ট্রসহ তার মিত্র এখন ক্লান্ত।ইউক্রেনের যুদ্ধেও যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি।ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল হাতছাড়া হয়ে গেছে রাশিয়ার কাছে। রাশিয়ার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, অনেক রুশ জেনারেল নিহত হয়েছেন, পশ্চিমা গণমাধ্যমে এই সংবাদ পরিবেশিত হলেও হারানো জমি ইউক্রেন আর উদ্ধার করতে পারেনি। এতেই প্রমাণিত হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র খুব বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। আর বিশেষ করে ইউরোপের পক্ষে নতুন করে আর কোনো বড় সংঘাতের বোঝা টানা সম্ভব নয়। যেখানেই যুদ্ধ শুরু হোক না কেন, শরণার্থীরা সব ইউরোপে এসে উপস্থিত হন। সিরিয়া ও ইউক্রেনের মিলিয়ে এক জার্মানিতেই ৩০ লাখের মতো শরণার্থী অবস্থান করছেন। এই অবস্থায় ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হলে দুই দেশ থেকেই দলে দলে শরণার্থী ইউরোপের দিকে যাত্রা শুরু করবেন। শুধু এই দুই দেশই নয়; এদের প্রতিবেশী দেশের শরণার্থীরাও এই যাত্রায় যুক্ত হবেন। তাই যুদ্ধ শুরু করার আগে অনেক হিসাব-নিকাশ মাথায় রাখতে হবে। যদি কোনো কারণে পুরোমাত্রায় যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, তবে সবাইকেই ভুগতে হবে। এ অবস্থায় যুদ্ধের পক্ষে ইউরোপের সায় আগের মতো নাও থাকতে পারে।বিপরীতে ইরান রাশিয়া ও চীনের সমর্থন পাচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে কথা বলেছেন। চীন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরামর্শ দিয়ে বলেছে ইরান একাই পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম। এর পাশাপাশি আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক ও তুরস্কের সমর্থন মিলে যাবে ইরানের জন্য। এই অবস্থায় মৌন সম্মতির ইউরোপ, দূরের দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি, জর্ডান, মিসরের সমর্থন ইসরায়েলের জন্য সুবিধাজনক না-ও হতে পারে।

তাই যথাসময়ে প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এই যথাসময় আগামী বছরও হতে পারে। যদি সব পক্ষকে যুদ্ধের জন্য রাজি করাতে পারে এবং ইরানের পেছন থেকে রাশিয়া ও চীনের ছায়া সরে যায়, তবে শীঘ্রই ইসরায়েল হামলা করবে।তেমনটা না হলে অপেক্ষা করতে হবে। কেউ কেউ বলছেন, ইরানের হামলায় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সুবিধা হবে। এমনিতেই তিনি স্বস্তিতে নেই। প্রতিনিয়তই ইসরায়েলে বিক্ষোভ হয়। অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো নয়। নতুন করে যুদ্ধ নেতানিয়াহুর রাজনীতিকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। আবার এর বিপরীত মতও আছে। হামাস বা ইরানের হামলা ইসরায়েলের সামরিক খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের তথ্য মতে ইরানের শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলকে ৮০ কোটি পাউন্ড খরচ করতে হয়েছে এক রাতেই। স্বভাবতই অতিরিক্ত সামরিক খরচের প্রভাব সার্বিকভাবে অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। ইরান ও হামাস সম্ভবত এটাই চাচ্ছে। ইসরায়েলে হামলা করে তাদের খরচ বৃদ্ধি করা। গাজা থেকে শত শত রকেট নিক্ষেপ করে হামাস। এসব রকেট খুব বেশি কার্যকর না। কোনো কোনো রকেট তৈরি করতে ৫০০ ডলারের মতো খরচ হয়। আর ৫০০ ডলারের রকেট আটকাতে ইসরায়েলের বিলিয়ন ডলারের আয়রন ডোম সক্রিয় করতে হয়। সামরিক যুদ্ধে ইসরায়েলের সঙ্গে পেরে উঠবে না হামাস। ইরান পারবে কি না, তা-ও নিশ্চিত নয়। কিন্তু ইসরায়েল যে দুর্ভেদ্য বা অজেয় নয়, এটা যদি প্রমাণ করা যায়, তবে ইসরায়েলে নাগরিকদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার ভয় বাড়বে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতাকে যুক্ত করা গেলে ইসরায়েলের অবস্থা আরও নাজুক হবে। দ্রুত না হলেও দীর্ঘ মেয়াদে এর সুফল পাওয়া যাবে। কারণ,ইসরায়েলের নাগরিকদের বেশির ভাগই অভিবাসী। তাঁরা বিভিন্ন দেশ থেকে এসে বসতি স্থাপন করেছেন। তাঁদের মধ্যে ইসরায়েল ত্যাগের হারও বাড়ছে।

নিরাপত্তাহীনতা তাঁদের দেশত্যাগের হার আরও বৃদ্ধি করবে। দেশত্যাগ ও নিরাপত্তাহীনতার বোধ নেতানিয়াহুর রাজনীতির জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্নভাবে ইরানকে কোণঠাসা করে ফেলছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। সর্বশেষ সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে হামলার পর ইরানের হাতে আর কোনো বিকল্প ছিল না। ইরান যদি পাল্টা হামলা না করত বা চুপচাপ হজম করে বসে থাকত, তবে পরবর্তী সময় ইসরায়েলের হামলা আরও বাড়ত ইরানের প্রতি। একই সঙ্গে ইরানি শাসকেরা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যও ইসরায়েলে হামলা করে থাকতে পারেন। এই হামলা শুধু নেতানিয়াহুকে রক্ষা করবে না; ইরানের শাসকদেরও একধরনের সুবিধা দেবে। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, এই যুদ্ধ ইরান হারুক বা জিতুক, যা-ই হোক না কেন, মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব কার্যত ইরানের হাতে এখন। কারণ, ইরান ছাড়া আর কোনো মুসলিম-অধ্যুষিত দেশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এতটা সরাসরি কথা বলছে না। সুতরাং এই যুদ্ধ এখন আর ছায়াযুদ্ধ থাকছে না, এই যুদ্ধ প্রকাশ্য। আর এই যুদ্ধ বাধিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি জানতেন তেহরান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাবে। আপাতদৃষ্টে মনে হয়, তিনি তাঁর মার্কিন মিত্রদের এই হামলা সম্পর্কে আগে থেকে অবহিত করেননি। হয়তো মার্কিন প্রশাসন আগে জানলে হামলায় ভেটো দিত। ধরন দেখে মনে হয়, নেতানিয়াহু দেশের ভেতর তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখা, মার্কিনদের অন্ধ সমালোচনাকে দমানো এবং ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপকে থামিয়ে দিতে এই হামলা চালিয়েছেন। নেতানিয়াহুর কূটকৌশল কাজে লেগেছে। রাতারাতি গাজা পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াশিংটনের যে বিরক্তি, তা মিলিয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কিংবা ইসরায়েলি জোটের প্রতি শর্তহীন সমর্থন প্রত্যাহারে চাপ বাড়ছিল। সেটাও মিইয়ে যেতে সময় লাগবে না। যুক্তরাজ্য বরং সিরিয়া ও ইরাকের আকাশে সামরিক সহযোগিতা দিয়েছে।

তার চেয়েও বড় কথা, দামেস্কের হামলার পর ইরান নিজেকে প্রকাশ করে ফেলেছে। তেহরান এখন আর লেবাননের হিজবুল্লাহ কিংবা ইয়েমেনের হুতিদের পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারবে না। নেতানিয়াহু তেহরানকে একরকম মল্লযুদ্ধে ডেকে এনেছেন। তেহরানের জবাব না দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তবে এই বিশ্বাসও ভুল। নেতানিয়াহুর মতো খামেনি এবং ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হাতে আরও বিকল্প ছিল। ইরান তার এই ক্ষোভের কথা জাতিসংঘে কিংবা হেগের আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে তুলতে পারত। তারা জি-টোয়েন্টি কিংবা ব্রিকসে তাদের মিত্রদের সহযোগিতা নিতে পারত। ইরান পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েও চুপ করে থাকতে পারত। এভাবে তারা বৈশ্বিক দক্ষিণের পশ্চিমা বিরোধী দেশগুলো যেমন চীন ও রাশিয়ার সহযোগিতা পেতে পারত। এর বদলে ইরানের নেতারা নেতানিয়াহুর ফাঁদে পা দিলেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইরান এখন একঘরে। পাশাপাশি ইরানের মানুষকেও এখন ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় থাকতে হবে। যত তীব্র হবে সেই প্রত্যাঘাত, ততই অজনপ্রিয় হয়ে উঠবে ইরানের সরকার। এমনকি গণ-অভ্যুত্থানও ঘটতে পারে। কারণ গত কয়েক বছর ধরে ইসরায়েল ক্রমাগতভাবে ইরানকে প্ররোচিত করে যাচ্ছে এবং তা লেবানন, সিরিয়া, এমনকি ইরানের মাটিতেও। এটা মনে করা অবশ্যই বোকামি হবে যে ইসরায়েল যে দড়ি ধরে টানছে, তা কখনোই ছিঁড়ে পড়বে না। সেই সময় বোধ হয় এসেও পড়েছে।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

আমার বার্তা/জেএইচ

যুগে যুগে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের বর্ণবাদী আচরণ

যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের বর্ণবাদী আচরণ নতুন নয়। ২০২০ সালে পুলিশি নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক

নাগিনীরা চারি দিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস, শান্তির অভয়বাণী শুনাইছে ব্যর্থ পরিহাস

আদিকাল থেকেই ইহুদীদের সাথে মুসলমানদের ঘোর শত্রুতা  অব্যাহত। ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক আমাদের মহানবী হযরত মোহাম্মদ

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস

প্রতি বছর ১ মে  পালিত হয় 'আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস' বা 'মে দিবস'। শুধুমাত্র আমাদের দেশেই

ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা

পয়লা মে, মহান মে দিবস। সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দিবসটি পালন করা হয়।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি মর্যাদার দাবিতে মাসব্যাপী কর্মসূচি

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ফিলিস্তিনপন্থিদের আন্দোলন

চামড়াখাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকার প্রস্তাব সিপিডি'র

শিক্ষকের মর্যাদা-বেতন বাড়ানো নিয়ে কাজ চলছে

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

স্ত্রীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন কাজাখস্তানের সাবেক মন্ত্রী

কাজের সন্ধানে পুরুষদের বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করলো মিয়ানমার

নোয়াখালীতে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪

দাবদাহে স্কুলগামী শিশুর সুরক্ষায়

পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত

নকল ওরস্যালাইন তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩

এক যুগ পর ডর্টমুন্ডের সঙ্গে ইতি টানছেন রয়েস

যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেছে: ইরান

যুগে যুগে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের বর্ণবাদী আচরণ

বাণিজ্য ও কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আলোচনা বাংলাদেশ-গাম্বিয়ার

সড়ক ছাড়লেন শ্রমিকরা, যান চলাচল স্বাভাবিক

স্বাধীন গণমাধ্যম সূচকের শীর্ষে নরওয়ে, বাংলাদেশ ১৬৫

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত ১৫

সরকার পতনে বিরোধীদলগুলো একাত্ম

চরম শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে ট্রেন