সরকারকে না জানিয়ে পেছনে থেকে আমলারা নানা সমস্যা তৈরি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
নোয়াখালী ও কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে দুটি জেলার বাসিন্দাদের আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন করপোরেশনে ‘বৈশ্বিক ও অন্যান্য কারণে সৃষ্ট অর্থায়ন–সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে এ অভিযোগ তোলেন তিনি। মতবিনিময় সভার আয়োজন করে গণসাক্ষরতা অভিযান। সভায় প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কিছু না বলার আগেই আমলারা নিজেদের মতো অনেক কিছু করে ফেলতে চাযন। এগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করছে।’
কুমিল্লা ও নোয়াখালী বিভাগের দাবির পেছনে প্রশাসনে নতুন নতুন পদ সৃষ্টির অভিসন্ধি রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকারকে না জানিয়ে আমলারা এ নিয়ে কমিটিও করে ফেলেছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
নতুন কোনো বিভাগ সৃষ্টির পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই জানিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো, ঘুষ কমানো, ভালো সেবার নিশ্চয়তা। কুমিল্লা নতুন বিভাগ হবে, নাকি নোয়াখালী নতুন বিভাগ হবে, সেটি মানুষের জীবনের সাথে সম্পর্কিত নয়। এমনকি গণতান্ত্রিক উত্তরণে সরকারের যে সংস্কার কর্মসূচি, তার সঙ্গেও সম্পর্কিত নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকারের ‘শেষ সময়ে’ এসে দাবিদাওয়ার আন্দোলন বেড়ে যাওয়ার দিকটি দেখিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এখন শেষ সময় বলে না অনেকে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আসছেন। তাঁদের মধ্যে একটা ধারণা হয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস আছে, এই শেষ সময় যত দূর পারো দাবি তুলতে হবে।’
‘আপাতত আন্দোলনের সবগুলো জায়গা অকুপাইড হয়ে আছে, আগে থেকে বুকিং না দিলে যারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তাঁরা জায়গা পাবে না,’ রসিকতাচ্ছলে বলেন তিনি।
আমার বার্তা/এমই