পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে রাজধানী ছাড়ছেন অসংখ্য মানুষ।
বুধবার (৪ জুন) সকাল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। বিশেষ করে ভোর থেকেই স্টেশনজুড়ে যাত্রীদের সরব উপস্থিতি ঈদযাত্রার সেই চেনা দৃশ্যকে আবারও ফিরিয়ে এনেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টেশনে প্রবেশের জন্য স্থাপন করা হয়েছে আলাদা গেট। সেখানে রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তারা টিকিট যাচাই করে যাত্রীদের প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন। টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে, যাতে যাত্রা নির্বিঘ্ন হয়। স্টেশনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কেউ ট্রেনের অপেক্ষায়, কেউবা আগেভাগেই নির্ধারিত সিটে বসে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সকাল ১০টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত মোট ১৮টি ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ৫টি কমিউটার ট্রেন ও ১৩টি আন্তঃনগর ট্রেন।
কমিউটার ট্রেনগুলো হলো-ব লাকা কমিউটার, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, মহুয়া, কর্ণফুলী ও তিতাস কমিউটার।
আন্তঃনগর ট্রেনগুলো হলো- ধুমকেতু এক্সপ্রেস, পর্যটক এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, নীলসাগর, সোনারবাংলা, এগারো সিন্ধুর প্রভাতি, তিস্তা, মহানগর প্রভাতি, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস এবং একতা এক্সপ্রেস।
যাত্রীরা বলছেন, ঈদে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর আনন্দই আলাদা। অনেকেই দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরছেন।
মনির নামের এক যাত্রী জানান, অনেকদিন পর বাড়ি যাচ্ছি। মা আর ছোট বোনের জন্য শপিংও করেছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবো, এটা ভেবেই খুব ভালো লাগছে।
এদিকে যাত্রীদের অনেকে অনলাইনে টিকিট কেটে সহজে ট্রেনে উঠতে পেরেছেন এবং ট্রেনের সিডিউল মেনে চলায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আমার বার্তা/এল/এমই