ই-পেপার সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নতুন ফ্যাসিবাদের আগমন ধ্বনি শোনা যাচ্ছে: আনু মুহাম্মদ

আমার বার্তা অনলাইন:
৩১ মে ২০২৫, ২০:০০

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, “যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, তার মধ্যে নতুন ফ্যাসিবাদের আগমন ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। পুরো সমাজের মধ্যে আবার একটা নতুন ফ্যাসিবাদী শক্তির নড়াচড়া দেখা যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।”

তিনি বলেছেন, “গণ–অভ্যুত্থানের যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, সেখানে জনগণ একটি নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সরকারের ভূমিকা নির্লিপ্ত, কোথাও তাদের অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয় না। বরং হামলা-নির্যাতনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারি বাহিনীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে।”

শনিবার (৩১ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘নাগরিক সংহতি সমাবেশ’–এ তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এই সমাবেশের আয়োজন করা হয় ‘যুদ্ধাপরাধী এ টি এম আজহারুল ইসলামকে দায়মুক্তি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মিছিলে জামায়াত-শিবিরের হামলার প্রতিবাদে’। গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের উদ্যোগে এই সমাবেশ করা হয়।

সমাবেশে আনু মোহাম্মদ বলেন, “আজ আমরা আশাহত হয়ে দাঁড়িয়েছি। যে শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য লড়ছে, যে নারীরা অধিকারের জন্য লড়াই করছে, তাদের ওপরই হামলা হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা বললে ইসলামবিরোধী অপপ্রচারের ট্যাগ লাগিয়ে তাদের দমন করা হচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”

তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে এবং এর প্রতিবাদ জানালে কিছু ছাত্র সংগঠন গণতন্ত্রকামী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। নারীদের টার্গেট করে তারা হামলা করছে। যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা হয় সেটাকে ইসলামবিরোধী কথা বলে অপপ্রচার চালায়। ধর্মকে ব্যবহার করে তারা রাজনীতিতে ফায়দা নিতে চায়।”

তিনি অভিযোগ করেন, নারী, শিক্ষার্থী, শ্রমিক, শিক্ষকসহ যেকোনো স্তরের মানুষ যখন নিজেদের অধিকার আদায়ে কথা বলেন, তখনই তাঁদের ওপর হামলা হয়। আর যারা হামলা করে তারা রক্ষা পায়, কারণ সরকারের ভেতরেই তাদের মদদদাতা রয়েছে।

একজন যুদ্ধাপরাধীর দায়মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে আনু মুহাম্মদ বলেন, “এ টি এম আজহারুল ইসলাম ১৯৭১ সালে একটি যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের নেতা ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তা দলিল-প্রমাণসহ ছিল। আদালত যদি কোনো ত্রুটির কারণে আগের রায় বাতিলও করে, তাহলেও যুদ্ধাপরাধের সত্যতা তো মুছে ফেলা যায় না।”

তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি ইতিহাসের বিবেচনায় চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, তাঁকে নির্দোষ ঘোষণার মাধ্যমে ইতিহাসকেই বিকৃত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৭১–এর শহীদ, নির্যাতিত নারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।”

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, “জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের বর্তমান তরুণ কর্মীদের অনেকেই ৭১ সালে জন্মায়নি। তারা যুদ্ধাপরাধ করেনি ঠিকই, কিন্তু তারা যদি সেই রাজনীতি ধারণ করে, তবে সেই অপরাধের দায় থেকেও তারা মুক্ত থাকতে পারে না।”

তিনি বলেন, “যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ইসলামবিরোধী বলে প্রচার করা হচ্ছে—এটা ভয়ংকর মিথ্যাচার। ১৯৭১ সালে শহীদ হওয়া মানুষের অধিকাংশই ছিলেন ধার্মিক মুসলমান। সুতরাং, তাঁদের হত্যাকারীদের বিচারকে ইসলামবিরোধী বলা মানে ইসলামেরই অবমাননা করা।”

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধাপরাধী আজহারের খালাসের প্রতিবাদে মশাল মিছিলে ছাত্র শিবির দুই দফা হামলা চালায়। ১৯৯৩ সালে শহীদ রিমুর হত্যার মতোই আজ আবার শিবির সন্ত্রাস শুরু করেছে। রাবিতে সন্ত্রাসের এই নবতর ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক কাঠামো বিপন্ন হতে বাধ্য।”

তিনি আরো বলেন, “ছাত্ররাজনীতিকে দখলের হাতিয়ার বানিয়ে যারা ক্যাম্পাসে সহিংসতা ছড়াচ্ছে, তাদের প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদেরই এগিয়ে আসতে হবে।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশীদ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য মানজুর আল মতিনসহ অন্যান্যরা।

আমার বার্তা/এমই

ডিএসআর কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা বাড়ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধীন দপ্তরের

সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনতে ‘ডায়নামিক সোশ্যাল রেজিস্ট্রি (ডিএসআর)’ নামে একটি ডিজিটাল

সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে ফের ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ, কড়া প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ‘মিলিটারি অপারেশনস জোন’ ঘোষণা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘নর্থইস্ট’-এর মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমাদেরকেই করতে হবে

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের প্রাণিসম্পদ খাতের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মসংস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা

বাড়বে জাপানি বিনিয়োগ, পাঠানো যাবে ১ লাখ কর্মী: শফিকুল আলম

জাপান সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ার পাশাপাশি প্রবাসী কর্মী পাঠানোর পথ প্রশস্ত হবে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মে মাসে এলো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ২৯৭ কোটি ডলার

ইশরাকের শপথ ইস্যুটি পুরোটাই ছিল ইসির এখতিয়ারাধীন: আপিল বিভাগ

নগদের নিয়োগে অনিয়মের সত্যতা মিলেছে, স্ত্রীসহ আতিক মোর্শেদকে দুদকে তলব

কেন ভারতের মুসলমানদের বারবার দেশপ্রেমের প্রমাণ দিতে হয়

বিকেল ৪টা নয়, ৩টায় বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা

৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা সোমবার

ডিএসআর কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা বাড়ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধীন দপ্তরের

জামায়াতের নিবন্ধন ফেরতের সংক্ষিপ্ত আদেশ প্রকাশ

পশ্চিমা বিশ্ব ১৯ মাস আগে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে

সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে ফের ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ, কড়া প্রতিক্রিয়া

উপদেষ্টা পরিষদ ছাত্রদের ভুল পথে পরিচালিত করছে: মেজর হাফিজ

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বসবেন সোমবার

ক্রিকেটারদের অতিরিক্ত চাপ দিতে চান না বিসিবি সভাপতি

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমাদেরকেই করতে হবে

নাগরিক সচেতনতায় ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভূমিকা রাখতে আহ্বান চসিক মেয়রের

নদীখেকো শাহ সিমেন্টকে কালো তালিকাভুক্ত করার দাবি টিআইবির

ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে নারীকে লাথি মেরে বহিষ্কৃত জামায়াতের সেই কর্মী গ্রেপ্তার

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দূর্নীতির অভিযোগে বিআরপি নেতা নাজমুল করিম বহিস্কৃত

বাড়বে জাপানি বিনিয়োগ, পাঠানো যাবে ১ লাখ কর্মী: শফিকুল আলম

দেশের প্রথম মনোরেল নির্মিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামে, সমঝোতা চুক্তি সই