তিস্তা প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গতকাল ঢাকায় সফরে আসা বিনয় কোয়াত্রার আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর বৈঠকে বসেন পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে।
বিনয় মোহন কোয়াত্রা সঙ্গে বৈঠকে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তায় আপনারা জানেন আমরা একটি বৃহৎ প্রকল্প নিয়েছি। ভারত (ইন্ডিয়া) সেখানে অর্থায়ন (ফিন্যান্স) করতে চায়। আমি যেটা বলেছি সেটা হচ্ছে, তিস্তা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে, সেটি আমাদের প্রয়োজন (নিড) অনুযায়ী হতে হবে। আমাদের প্রয়োজন (নিড) যেনো ফুলফিল হয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেইজিং যাওয়া নিয়ে কথা হচ্ছে, কোনটি আগে হতে পারে বেইজিং না দিল্লি? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেখুন দিল্লিতো আমাদের কাছে, বেইজিং একটু দূরে। প্রধানমন্ত্রী অনেক আগে থেকেই ভারত সফরের কথা বলেছেন। সেখানে যেহেতু ইলেকশন, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কখন সফর হবে সে তিন নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।
তিস্তা প্রকল্পে চীন আগ্রহী, ভারতও টাকা দিতে চায়, আমরা কোনটা গ্রহণ করব সেটা কি ঠিক করেছি কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভারতের আমাদেরকে এ ক্ষেত্রে সহায়তা করতে চাচ্ছে, সেই বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভারতের ভিসা যেন দ্রুত হয় সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তারা আন্তরিক এটি সহজতর করার জন্য। নেপাল এবং ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করা ফ্যাসিলেট করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি হলে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা যাবে।
সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতে নির্বাচন চলছে। সেটি শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাবেন।’
দুদিনের সফরে গতকাল ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। সন্ধ্যায় এক বিশেষ ফ্লাইটে তিনি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বলে জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ টি এম রকিবুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।