বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়লেও, লিংকডইনের লেখার সহায়ক ফিচার (এআই রাইটিং অ্যাসিস্ট্যান্ট) প্রত্যাশিত জনপ্রিয়তা পায়নি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন লিংকডইনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রায়ান রোসলানস্কি।
রোসলানস্কি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম এই ফিচারটি অনেক বেশি জনপ্রিয় হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।”
লিংকডইন কর্তৃপক্ষের ধারণা ছিল, ব্যবহারকারীরা পোস্ট লেখার সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেবেন। কিন্তু ব্যবহারকারীদের বাস্তব আচরণ ছিল একদম ভিন্ন।
রোসলানস্কির মতে, লিংকডইনের ব্যবহারকারীরা পোস্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সচেতন। কারণ এখানে প্রতিটি পোস্টই ব্যক্তির পেশাগত পরিচিতি তুলে ধরে।
তিনি বলেন, “লিংকডইন একধরনের অনলাইন জীবনবৃত্তান্তের (রিজিউমে) মতো। কেউই চান না এমন কিছু পোস্ট করতে, যা স্পষ্টভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা লেখা বলে মনে হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আপনি যদি টিকটক বা এক্স (আগের টুইটার)-এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কিছু পোস্ট করেন এবং কেউ তা নিয়ে সমালোচনা করে, তাতে বড় কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু লিংকডইনে সমালোচিত হলে তা সরাসরি আপনার কর্মজীবন ও ভবিষ্যতের পেশাগত সুযোগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”
যদিও লেখার সহায়ক ফিচার জনপ্রিয়তা পায়নি, তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত দক্ষতার চাহিদা লিংকডইনে দ্রুত বাড়ছে।
রোসলানস্কির মতে, গত এক বছরে এআই-সম্পর্কিত দক্ষতার চাহিদা ছয় গুণ বেড়েছে। পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রোফাইলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দক্ষতা যুক্ত করার প্রবণতা বেড়েছে ২০ গুণ।
আমার বার্তা/জেএইচ