ভারতের বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘আত্মসমর্পণ’ করেন।
ভোপালে মঙ্গলবার (৩ মে) দলীয় একটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় এমন মন্তব্য করেন রাহুল।
গত ৭ মে পাকিস্তানে মিসাইল ছুড়ে ভারত। এর জবাবে পাকিস্তানও ভারতে পাল্টা হামলা চালায়। এই হামলা পাল্টা হামলার মধ্যে রাফালসহ ভারতের অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান। এরপর ১১ মে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। খবর ইকোনোমিক টাইমসের।
রাহুল দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবহর পাঠালেও তাদের কাছে নতি স্বীকার করেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
তিনি বলেন, ট্রাম্পের কাছ থেকে একটি ফোন আসে আর নরেন্দ্র মোদি সঙ্গে সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেন। ইতিহাস স্বাক্ষী। এটি হলো বিজেপি-আরএসএসের চরিত্র। তারা সবসময় নতি স্বীকার করে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন হুমকি সত্ত্বেও ভারত ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করে। কংগ্রেস সুপার পাওয়ারদের সঙ্গে লড়াই করে। তারা কখনো নতি স্বীকার করে না।
রাহুল বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় কোনো ফোন আসেনি। যদিও মার্কিন সপ্তম বহর, অস্ত্র এবং একটি বিমানবাহী রণতরী এসেছিল। ইন্দিরা গান্ধী ওই সময় আত্মসমর্পণ করেননি। তিনি বলেছিলেন, তিনি যা চান তাই করবেন।
বিজেপি-আরএসএস সবসময় আত্মসমর্পণপত্র লিখে অভ্যস্ত বলে দাবি করেন রাহুল গান্ধী।
তিনি বলেন, এই হলো বিজেপির সঙ্গে আমাদের পার্থক্য। এটাই তাদের চরিত্র। তাদের সবাই একই রকম। তাদের আত্মসমর্পণপত্র লেখার অভ্যাস আছে ভারতের স্বাধীনতার শুরু থেকেই।
কিন্তু কংগ্রেস কখনো আত্মসমর্পণ করে না। মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু এবং বল্লবভাই প্যাটেল কখনো আত্মসমর্পণ করেননি। তারা সুপার পাওয়ারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।
আমার বার্তা/জেএইচ