
মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসরে বিজয়ীর মুকুট উঠেছে মেক্সিকোর সুন্দরী ফাতিমা বশের মাথায়।
১৯ নভেম্বর ভোরে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত পর্বে বিশ্বের ১২০ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে সেরা হওয়ার কৃতিত্ব দেখান তিনি। আর সেরা ৩০-এ জায়গা করেই থামতে হয়েছে বাংলাদেশের তানজিয়া জামান মিথিলাকে।
সুইমিং কস্টিউম ও গাউন ওয়াক রাউন্ড পেরিয়ে পাঁচ প্রতিযোগীর যে ফাইনাল তালিকা তৈরি হয় সেখানে ছিলেন মেক্সিকো, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভেনেজুয়েলা ও আইভরিকোস্টের প্রতিনিধিরা। এই পাঁচজনকে করা হয় দুটি প্রশ্ন। একটি আলাদা, আরেকটি সবার জন্য একই।
কমন প্রশ্নের সময় চার প্রতিযোগীর কানে ছিল হেডফোন যাতে তারা উত্তর শুনতে না পারেন। আর এখানেই নিজের প্রজ্ঞা ও শক্তিশালী বক্তব্য দিয়ে সবার নজর কাড়েন ফাতিমা বশ।
আয়োজনে প্রথম প্রশ্ন করা হয়, ২০২৫ সালে আপনার দৃষ্টিতে নারীর চ্যালেঞ্জগুলো কী এবং কীভাবে আপনি মিস ইউনিভার্স খেতাব ব্যবহার করে বিশ্বের নারীদের জন্য নিরাপদ স্থান তৈরি করবেন?
ফাতিমার উত্তর ছিলো, ‘নারীদের জন্য পৃথিবীটা এখন চ্যালেঞ্জের। একজন নারী ও মিস ইউনিভার্স হিসেবে আমি আমার বক্তব্য, শক্তি ও অবস্থানকে ব্যবহার করব অন্যদের কল্যাণে। আমরা এখানে এসেছি কথা বলার জন্য, পরিবর্তন আনার জন্য। আমরা নারী, আমরা সাহসী। আমরা সামনে দাঁড়িয়ে ইতিহাস তৈরি করতে জানি।’
দ্বিতীয় কমন প্রশ্নটি ছিল, আপনি মিস ইউনিভার্স নির্বাচিত হলে এই প্ল্যাটফর্মকে কীভাবে তরুণীদের ক্ষমতায়নের জন্য ব্যবহার করবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে নিজের আত্মবিশ্বাস, মূল্যবোধ ও স্বকীয়তার বার্তা দিয়ে বিচারক ও দর্শকের মন জয় করে নেন ফাতিমা।
ফাতিমার উত্তর, ‘মিস ইউনিভার্স হিসেবে তরুণীদের বলব নিজের স্বকীয়তার শক্তিতে বিশ্বাস রাখো। তোমার স্বপ্নের মূল্য আছে, তোমার হৃদয় অমূল্য। তোমার মূল্য নিয়ে অন্য কারও সন্দেহ করতে দিও না। তুমি শক্তিশালী, আর তোমার কণ্ঠস্বর সবার কাছে পৌঁছে যাক।’
প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে ঘোষণা করা হয় ফলাফল। সেখানে মিস ইউনিভার্স ২০২৫ নির্বাচিত হন মেক্সিকোর ফাতিমা বশ। মূলত তার প্রথম প্রশ্নের জবাবই তাকে এগিয়ে দিয়েছিল।
এবারের আয়োজনে প্রথম রানারআপ হন থাইল্যান্ডের প্রভিনার সিং, দ্বিতীয় রানারআপ ভেনেজুয়েলার স্টেফানি আবাসালি। চতুর্থ হন ফিলিপাইনের আহতিসা মানালো এবং পঞ্চম আইভরিকোস্টের অলিভিয়া ইয়াসে।
আমার বার্তা/এল/এমই

