শোবিজ অঙ্গনেও রয়েছে বর্ণবৈষম্যর আচরণ। সম্প্রতি অভিনেত্রী আশনা হাবীব ভাবনার এক সাক্ষাৎকারে মিলল তেমনই চিত্র। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, বড়পর্দায় একটি সিনেমায় যুক্ত হওয়ার সময় বর্ণবৈষম্য নিয়ে কথা শুনতে হয়েছিল তাকে। সেটিও আবার একজন অভিনেত্রীর কাছ থেকে।
ঘটনা উল্লেখ করে ভাবনা জানান, বড়পর্দায় একটি সিনেমায় যুক্ত হওয়ার সময় একজন অভিনেত্রী তাকে ও তার মায়ের সম্পর্কে বলেছিলেন, ভাবনা কী করে নায়িকা হয় ? ওর চেহারা তো ওর মায়ের মতো। আর ওর মা তো দেখতে আমাদের বাসার কাজের মেয়ে রহিমার মতো।
সহকর্মী অভিনেত্রীর কাছ থেকে এমন কথা শুনে রীতিমত বাকরুদ্ধ হয়েছিলেন ভাবনা। কেননা, ওই সহকর্মীর সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয়, আড্ডা হয়। অর্থাৎ, খুবই সুসম্পর্ক ছিল দুজনের মাঝে। তবুও ভাবনাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করতে ছাড়েননি তিনি।
এ ব্যাপারে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে ভাবনা বলেন, আমার শোবিজ অঙ্গনের কাছের একজন মানুষ আমাকে নিয়ে এমন কথা বলবে, সেটি কখনো কল্পনাই করিনি আমি। তার উদ্দেশ্য ছিল আমাকে সরাসরি অপমান বা ছোট করা। তবে তার ওই অপমান, ছোট করার চেষ্টাগুলোই শক্তি জুগিয়েছে আমায়। এমন অনেকেই আছে যারা সহ্য করতে পারে না যে―কেন একের পর এক নায়িকা হচ্ছি। কিন্তু যতই ছোট করা হোক না কেন আমায়, আমি কখনোই পেছনে ফিরে তাকাইনি। নিজের যোগ্যতার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চিন্তা করেছি সবসময়।
ভাবনা বলেন, আমাকে নিয়ে কেউ একটা মন্তব্য করতেই পারে। কিন্ত আমার মাকে টেনে এনে কেন অপমান করা। আমি চাইলে সেদিন তাকে ওই কথার জবাব দিতে পারতাম; দেইনি। আমার মা-বাবা সেই শিক্ষা দেননি আমাকে। কাউকে ছোট করে কখনো বড় হওয়া যায় না। আমাদের সহকর্মীদের মধ্যেই অনেকে আছেন, যারা অন্যদের টেনে নিচে নামাতে চান।
তবে ভাবনা সেই অভিনেত্রীর নাম জানাননি। নাম প্রকাশ করে তাকে ছোট করতে চাননি। তিনি বলেন, এখনো কিন্তু আমরা কথা বলি, কখনো আবার আড্ডা দেই। তার নাম প্রকাশ করে ছোট করার কী প্রয়োজন। সে তার নিজের মতো থাক। আমাকে ও মাকে যারা ছোট করেছিলেন, আমি তাদের অন্যভাবে জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমাকে যেদিন অপমান করা হয়, ওই দিনই মাথায় আসে ‘কাজের মেয়ে’ নামে একটি বই লিখব আমি। যে মেয়েটি অনেক কাজের ও পরিশ্রমী। সেই বইটি এবার প্রকাশ হয়েছে বইমেলায়। আর শেষ দিন মনে হলো পেছনের ঘটনা সবাইকে জানানো দরকার।
আমার বার্তা/এমই