বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, চব্বিশের আন্দোলনে অ্যাবসেন্ট (অনুপস্থিত) ছিলেন বুদ্ধিজীবীরা। দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন তারা। ৬৯ ও ৭১-এ যাদের পেয়েছিলাম, তাদের এ পর্বে পাইনি।
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে সোমবার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক স্মরণানুষ্ঠানে এ কথা বলেন গভর্নর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আজকের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। মার্চ টু ঢাকা ছিল স্বৈরাচার পতনের সূচনা। সবসময় ছাত্ররাই নেতৃত্ব দিয়েছে। একসময় আমরা হতাশ ছিলাম, ছাত্রদের মধ্যে সহনশীলতা এসেছিল, কিন্তু তারাও আবার জেগে উঠেছে। ছাত্রদের সঙ্গে যখন সাধারণ জনগণ মিলে যায়, তখন কোনো স্বৈরাচারী সরকারই টিকতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটি আর্থিক খাত গড়তে চাই, যা আগের অবস্থায় ফিরে না যায়। অর্থ উপদেষ্টা আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশাবাদী। ব্যাংক কোম্পানি আইন বাস্তবায়ন হলে সংকট থাকবে না। শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না, আমরা আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষা করবো— সেইসঙ্গে দেশের স্বার্থও রক্ষা হবে।
অনুষ্ঠানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, জুলাইজুড়ে চলা আন্দোলন ছিল কোটা সংস্কার থেকে শুরু হয়ে স্বৈরাচার পতনের এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। এটাকে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলি। শহীদের রক্তের ঋণ শোক প্রকাশে শোধ হবে না, তবে আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সেই ঋণের কিছুটা হলেও মর্যাদা রক্ষা করা যাবে।
আমার বার্তা/এমই