গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (মে পর্যন্ত) দেশে মূলধনী যন্ত্রের আমদানি কমেছে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ। ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে জ্বালানি তৈরির উপাদান অপরিশোধিত পেট্রোলিয়ামের আমদানি। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের যে ঘাটতি রয়েছে এটি তারই প্রতিচ্ছবি।
কৃষি থেকে সরে শিল্পমুখী হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। অর্থনীতিকে গতিশীল করতে যেখানে দরকার মূলধনী যন্ত্রের আমদানি বৃদ্ধি; সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, বছর ব্যবধানে শিল্প স্থাপনে বা সম্প্রসারণে দরকারি বিভিন্ন যন্ত্রপাতির আমদানি কমেছে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যালান্স অব পেমেন্টের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গত অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে দেশে আমদানি হয়েছে ২৬২ কোটি ২৪ লাখ ডলারের মূলধনী যন্ত্রপাতি। অথচ ৩২৫ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের এসব যন্ত্রপাতি আমদানি হয়েছিল আগের অর্থবছরের একই সময়ে।
ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশে নতুন শিল্প-কলকারখানা স্থাপন না হওয়ায় কমেছে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি। এটি দেশের অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক। তাই শিল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
তথ্য বলছে, বছর ব্যবধানে গত মে পর্যন্ত ১১ মাসে অপরিশোধিত পেট্রোলিয়ামের আমদানি কমেছে ৩৩.২ শতাংশ। আর ৭.৭ শতাংশ কমেছে সিমেন্ট তৈরির উপাদান ক্লিংকারের আমদানি।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, দেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের অভাবেই শিল্প সম্প্রসারণে আগ্রহী হচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, দেশের মুদ্রা ও রাজস্বনীতি গত ১ বছর ধরে কিছুটা সংকোচনমুখী নীতিতে চলছে। যার সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাও।
পরিস্থিতির উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বহুমুখী নন-ট্যারিফ বাধা দূর করার পরামর্শ উদ্যোক্তাদের।
আমার বার্তা/এল/এমই