এন্ট্রি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বন্দরে যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন অপারেটররা। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে কনটেইনার ও পণ্য পরিবহন অপারেটররা বন্দরে সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দেন।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক জরুরি সভার পর চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা পণ্য পরিবহন সমিতি, চট্টগ্রাম ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এবং প্রাইম মুভার অ্যান্ড ফ্ল্যাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, প্রধান স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কোনো প্রকার পরামর্শ ছাড়াই 'জোরপূর্বক' নতুন ফি আরোপ করা হয়েছে।
পরিবহন সংগঠনগুলো জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বিভাগ ১৩ অক্টোবর একটি অফিস আদেশ (নং ২২৩/২৫) জারি করে প্রতিটি ভারী যানবাহনের জন্য নতুন এন্ট্রি ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। এতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত হয়ে মোট ফি দাঁড়িয়েছে ২৩০ টাকা, যা আগের ৫৭.৫০ টাকার তুলনায় অনেক বেশি।
সংগঠনগুলো বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা বন্দরের প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্গো পরিচালনা করি। এমন বড় পরিবর্তনের আগে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। আমরা আগেও প্রতিবাদ করেছি এবং ফি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে এই সপ্তাহের শুরুতে কিছু সংগঠন ইতোমধ্যেই তাদের যানবাহন বন্দরে প্রবেশ বন্ধ করেছিল। চলমান অবস্থার কারণে বৃহস্পতিবারের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শনিবার সকাল ৬টা থেকে সব ধরনের গাড়ির বন্দরে প্রবেশ 'অস্থায়ীভাবে স্থগিত' থাকবে। নেতারা তাদের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোকে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রাইম মুভার অ্যান্ড ফ্ল্যাটবেড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, এটি কোনো কর্মবিরতি বা ধর্মঘট নয়। পোর্ট কর্তৃপক্ষ হঠাৎ প্রতিটি গাড়িতে ১৭৩ টাকা বেশি ফি ধার্য করেছে, কিন্তু স্পষ্ট করেনি অতিরিক্ত খরচ কার বহন করবে— মালিক না শ্রমিকরা। তাই ১৫ অক্টোবর থেকে ট্রেইলার চলাচল বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, বন্দর সাধারণভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে, যদিও কিছু অভিযোগ এসেছে যে ট্রেলার মালিকরা কিছু যানবাহনের চলাচল স্থগিত করেছে। কিছু প্রভাব পড়েছে, আমরা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছি।
আমার বার্তা/জেএইচ