জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালটির প্রধান দুটি ফটক বন্ধ। ভেতরে অলস সময় কাটাচ্ছে পুলিশ। সকাল থেকে হাসপাতালটিতে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে আজ সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন।
শনিবার (৩১ মে) জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালের এমন দৃশ্য। গত বুধবার সকাল থেকে এই অচলাবস্থা চলছে। চিকিৎসাসেবা কখন চালু হবে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে টানা চতুর্থ দিন আজ।
জানা গেছে, হাসপাতালটির সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ভেতরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ৫০ জন যোদ্ধা অবস্থান করছেন। শুধু তাদের রান্নার জন্য দু-একজন লোক আছে। এর বাইরে হাসপাতালের কোনো স্টাফ নেই।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসক ও কর্মীরা কাজে ফিরতে অনিচ্ছুক।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয় উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে দ্রুত চিকিৎসাসেবা চালু করার, তবে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি যেন আবার না ঘটে, সে বিষয়েও সজাগ থাকতে হচ্ছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে ৫০ জন জুলাই যোদ্ধা হাসপাতালে ভর্তি। আত্মহত্যার চেষ্টা করা চারজন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং একজন সিএমএইচে ভর্তি আছেন। এ ছাড়া প্রায় ১৫০ জন সাধারণ রোগী ছিলেন, যারা নিরাপত্তার অভাবে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, গেল বুধবার নিরাপত্তার দাবিতে হাসপাতালটির চিকিৎসক নার্স কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি কর্মসূচিতে হামলা করে। এতে চিকিৎসকসহ ১৫ জন স্টাফ আহত হন। আতঙ্কে হাসপাতাল ছাড়েন চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আমার বার্তা/এল/এমই