তিতাস গ্যাসের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের নামে লাখ লাখ টাকা লুটপাট
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭:০০ | অনলাইন সংস্করণ
আনিছ মাহমুদ লিমন:

যতই হচ্ছে উচ্ছেদ অভিযান তত ইনকাম। তিতাস গ্যাসের মিরপুর অফিসে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের নামে প্রতি সপ্তাহে তিতাস গ্যাস কোম্পানি থেকে লুটপাট হচ্ছে লাখ লাখ টাকা, ভুলভাল ভাউচার দেখিয়ে তা জায়েজ করে নিচ্ছে কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা। যত বেশি অভিযান হচ্ছে তত বেশি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে এরা।
প্রতি সপ্তাহে তিতাস গ্যাসের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার জন্য তিতাস গ্যাস অফিস থেকে মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই টাকা দিয়ে অভিযানে যে কয়টি গাড়ি ব্যবহার করা হবে সেই গাড়ির তেলের খরচ এবং অবৈধ সংযোগ মাটি খুঁড়ে যে লেবাররা বের করবে তাদের একটা খরচ এবং অভিযানে যারা থাকবেন তাদের দুপুরের লাঞ্চের খরচ করার জন্য মূলত সরকার এই বরাদ্দ দিয়ে থাকেন।
অভিযানে ৫ থেকে ৭ টি গাড়ি ব্যবহার করা হয়, প্রতি গাড়িতে তেল খরচ হয় মাত্র ১ হাজার টাকা করে ৭ হাজার টাকা। ১০ জন লেবার যদি কাজ করে একজন লেবারকে ১ হাজার টাকা করে দিলেও ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। মোট অভিযানে ৩০ জন লোক কাজ করে এই ৩০ জন কে দুপুরের লাঞ্চ খাওয়ানো হয় ১১০ টাকা করে ৩৩০০ টাকা। লাঞ্চে সবাইকে খাওয়ানো হয় নিম্নমানের মোরগ পোলাও যা অনেকেই খেয়ে অভিযোগ করেছেন এতটা নিম্নমানের খাবার দেয়া হয় যা অনেকে খেতে পারেন না। আরো অভিযোগ রয়েছে এর মধ্যে অনেকেই ঠিকঠাক খাবারও পান না নিজের টাকায় লাঞ্চ সেরে নিতে হয় তাদের।
তিতাসের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য যে সকল সাংবাদিকরা সাথে থাকেন তাদেরকে দেয়া হয় না কোন কিছুই এমনকি সাংবাদিকরা দুপুরের লাঞ্চ ও সারের নিজেদের পকেটের টাকায়। সূত্র বলছে সাংবাদিকদের জন্য অভিযানের দিন বরাদ্দ থাকে বেশ কিছু টাকা তাও মেরে খাচ্ছে তিতাস সেলস কর্তৃপক্ষ।
এখন প্রশ্ন হল তিতাসের এই অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে যে মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় সেই টাকা থেকে সামান্য কিছু টাকা খরচ করা হয়, আর বাকি টাকাগুলো কোথায় যায়?।
সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে তিতাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিঃ বিভিন্ন বাসা বাড়ি হোটেল রেস্টুরেন্ট এবং ওয়াশিং ফ্যাক্টরি ডাইং ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করার কথা থাকলেও সে কাজ করছে না তিতাস গ্যাস মিরপুর জোন অফিস।
তিতাস কর্তৃপক্ষরা নিজেদের খেয়ালখুশিমত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে বারবার ঘুরেফিরে ইস্টার্ন হাউসিং ও শিয়াল বাড়িতে একই জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছে।
ইএসএস ম্যানেজার মমতাজ উল হক এর নেতৃত্বে গুলশান অফিসে কর্মরত সিকিউরিটি মো. শফিককে নিয়ে আসেন প্রতি অভিযানে। অনুসন্ধানে জানা যায় ওই অভিযানে লেবারসহ সম্পূর্ণ খরচ এই সিকিউরিটি শফিকের হাত থেকেই করানো হয়। এজন্যই আসল খরচের হিসাব গোপন থেকে যায়।
আমার বার্তা/এমই