বাবা-মার মুখে হাসি দেখতে পাওয়াই আমার আসল প্রাপ্তি: হামজা চৌধুরী

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

হামজা চৌধুরী এখন বাংলাদেশের। এক বছর আগেও কথাটি ভাবতে অকল্পনীয় লাগত। সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে গত ডিসেম্বরে। বাংলাদেশের জার্সিতে এরই মধ্যে পাঁচ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। বাংলাদেশে যখন আসেন, প্রতিবারই সমর্থকেরা আপন করে নেন ইংল্যান্ড প্রবাসী এই মিডফিল্ডারকে। তা এখনো অবাস্তব লাগে তাঁর কাছে।

ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ ও নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলতে গতকাল ঢাকায় আসেন হামজা। এখনো জাতীয় দলের হয়ে অনুশীলনে নামেননি। সাতসকালে আজ টেলিকম কোম্পানি রবি তাঁকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। সেই অনুষ্ঠানে সমর্থকদের ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হামজা জানান, বাবা-মায়ের মুখে হাসি দেখাটাই প্রাপ্তি তাঁর কাছে। বাংলাদেশের তারকা মিডফিল্ডার বলেন, ‘সত্যি বলতে এখনো পরাবাস্তব মনে হয়। আমি শুধু চাই এই দেশের অংশ হয়ে এবং যেকোনোভাবে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে গর্বিত হতে। বিশেষ করে আমার বাবা-মায়ের জন্য। আমার বাবা এই দেশেই জন্মেছেন ও বড় হয়েছেন। তাই তাদের মুখে সেই হাসিটা দেখতে পাওয়াটাই আমার আসল প্রাপ্তি। প্রত্যেক সন্তানই চায় তার বাবা-মাকে গর্বিত করতে। আমি ভাগ্যবান যে পুরো জাতিকেই গর্বিত করতে পারছি।’

এবার অবশ্য একাই এসেছেন হামজা, ‘আমি যে ভালোবাসা পাই, সেটা খুব ভালোভাবে লালন করি। চেষ্টা করি সেই ভালোবাসা ও সমর্থনটা সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে। এটা তাদেরও বারবার এখানে ফিরে আসার ইচ্ছে জাগায়। যখনই আমি বাংলাদেশ ছাড়ি, আমার বাচ্চারা বলে তারা বাংলাদেশে ফিরতে চায়। তাই ইনশা আল্লাহ, তারা মার্চে আবার ফিরে আসবে।’

জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। একই ভেন্যুতে ১৮ নভেম্বর লড়বে ভারতের বিপক্ষে। গত মার্চে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে হামজার।


আমার বার্তা/জেএইচ