বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়া উপদেষ্টাকে নিয়ে অভিযোগ তুললেন তামিম
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

সবঠিক থাকলে আগামী ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে কোনো সরকারি হস্তক্ষেপ কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাব থেকে কাউন্সিলরশিপ পাওয়া তামিম ইকবাল খান।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি। সেই সঙ্গে বর্তমান বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন তামিম।
তিনি বলেন, আমাদের ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে দেখা হয়েছিল। তখন তাকে আমি একটি কথাই বলেছিলাম—ভাইয়া, আমি আপনার কাছ থেকে কিছুই চাই না; শুধু একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। এর বাইরে আমি তার কাছে কোনো দাবি করিনি, কিছুই চাইনি। কিন্তু তারপর থেকে আমরা যা দেখতে শুরু করেছি, কিংবা জেলা ও বিভাগে যা ঘটছে, এমনকি ক্লাব পর্যায়েও যা চলছে—সেগুলো ঠিকভাবে হচ্ছে না।
কিছুদিন আগেই বুলবুল জানিয়েছিলেন তার বিসিবি নির্বাচন নিয়ে কোনো ধারণাই নেই। তবে তিনিই আবার কাউন্সিলর তালিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠাচ্ছেন। এটি তার বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মনে করেন তামিম।
বাঁ-হাতি এই ওপেনারের ভাষ্য, ১৬ তারিখে বা তার আগে তাদের জানানো হলো যে সময়সীমা আমরা বাড়াবো। অর্থাৎ ১৭ তারিখ থেকে তা ১৯ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। দ্বিতীয়বার আবার ১৯ তারিখ থেকে সেটিকে ২২ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হলো। প্রথমবার যখন সময়সীমা বাড়ানো হয়, তখন তাদের ডিরেক্টর গ্রুপে বিষয়টি প্রস্তাব আকারে দেওয়া হলে তিন-চারজন ডিরেক্টর এতে সম্মতি জানান।
‘ফলে বিষয়টি ১৯ তারিখ পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন সময়সীমা বাড়ানো হলো, তখন বিসিবি প্রেসিডেন্ট ছাড়া আর কেউ—হ্যাঁ বা না—কোনো মতামতই দেননি। তিনি নিজের ইচ্ছাতেই সময়সীমা বাড়িয়ে দিলেন।’
নির্বাচন কমিশন গঠনের পর সবধরনের যোগাযোগের দায়িত্ব কমিশনের ওপর বর্তায়। অথচ এরপরও বিসিবি সভাপতি নিজে চিঠিতে স্বাক্ষর করছেন, যা নিয়মের পরিপন্থী বলে মনে করেন তামিম। এ ছাড়া সরকারের ক্যাবিনেট সচিবের দপ্তর এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকেও চিঠি পাঠিয়ে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, এখন মজার বিষয় হলো, আপনারা কিছুদিন আগেই দেখেছেন—যাকে ইচ্ছা অ্যাডহক কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আবার যাকে ইচ্ছা সেই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। যদি এভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে চান, তবে এটি তো ইলেকশন হলো না; বরং এটি সিলেকশন হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়া উচিত।
আমার বার্তা/এমই