চ্যাম্পিয়নস লিগে নাপোলির ইতিহাস

প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৩, ১৩:০৩ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক

সুসময় চলছে নাপোলির। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমের পর আবারো সিরি আ’তে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে ইতালির ক্লাব। পথে না বলে বলা যায় শিরোপায় এক হাত দিয়ে রেখেছে তারা। দুইয়ে থাকা ইন্টার মিলানের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান ১৮।

এমন সুসংবাদের মাঝে গতকাল আরও বড় রেকর্ড গড়েছে দলটি। নিজেদের ১১৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়েছে তার।

গতকাল নিজেদের মাঠ ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এই কীর্তি গড়ার সুযোগ পেয়েছে নাপোলি। অবশ্য শেষ ষোলোর প্রথম লেগেই অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিল তারা। প্রতিপক্ষের মাঠে ২-০ গোলের জয় পেয়েছিল ইতালিয়ান ক্লাব। সব মিলিয়ে ৫-০ ব্যবধানে জিতে টুর্নামেন্টে নিজেদের ইতিহাস লিখেছেন দলের ফুটবলাররা।

ফ্রাঙ্কফুর্টকে হারানোর ম্যাচে দলের হয়ে জোড়া গোল করেন ভিক্টর ওসিমেন। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত ২ মিনিটে ও বিরতির পর ৫৩ মিনিটে গোল দুটি করেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। আর ৬৪ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে পেনাল্টিতে শেষ পেরেক দেন পিওতর জিয়েলিনস্কি।

জোড়া গোলের রাতে একটি রেকর্ড গড়েছেন ওসিমেন। নাপোলির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে গোল করেছেন তিনি। শুধু তিনিই রেকর্ড গড়েছেন এমনটা নয়। তাঁর গুরু লুসিয়ানো স্পালেত্তিও একটা মাইলফলক অর্জন করেছেন।

স্পালেত্তি অবশ্য একাই নন তাঁর সঙ্গী স্বদেশি তিন কোচও। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের এক মৌসুমে শেষ আটে একসঙ্গে ইতালির চার কোচ ডাগআউটে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন। বাকি তিন কোচ হচ্ছেন- রিয়াল মাদ্রিদের কার্লো আনচেলত্তি, ইন্টার মিলানের সিমিওনে ইনজাঘি ও এসি মিলানের স্টেফানো পিওলি।

আরও এক জায়গায় প্রথমে নাম লিখেছে নাপোলি। সিরি আ’র দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী মিলানের সঙ্গে যৌথভাবে ২০০৫-০৬ মৌসুমের পর কোয়ার্টারে সুযোগ পেয়েছে এ মৌসুমে লিগে চ্যাম্পিয়নের সুবাস পাওয়া দলটি। শেষ বার ইতালির তিন ক্লাব ছিল দুই মিলানের সঙ্গে জুভেন্টাস।

আর একক দল হিসেবে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড গড়েছে নাপোলি। এ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ২৫ গোল করে শীর্ষে আছে তারা। এই প্রতিযোগিতায় এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের তালিকাও ইতালির তিন ক্লাব। ২৬ গোলে যৌথভাবে দুইয়ে আছে লাজিও ও ইন্টার মিলান। আর ৩০ গোল নিয়ে শীর্ষে রয়েছে জুভেন্টাস।

এবার তিন ক্লাবকেই ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে নাপোলি। জুভেন্টাসকে ছাড়িয়ে যাওয়া একটু কঠিন হলেও বাকি দুই দলকে ছাড়িয়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার। এ মৌসুমে তাদের ফুটবলারদের ফর্ম তেমনি আভাস দিচ্ছে।

এবি/ জিয়া