শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে দিনশেষে বাংলাদেশ তিন উইকেটে ২৯২ রান

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫, ১৮:০৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

১২তম টেস্ট সেঞ্চুরির পর মুশফিকুর রহিম।

৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ধুঁকছিলো, তখন ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। দিনের তখন চলছে মাত্র ১৭তম ওভারের খেলা। এই গলেই খেলা একমাত্র টেস্টটিতে ক্যারিয়ারের তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির প্রথমটি করেছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। সবশেষ ১৩ ইনিংসে মোটে ১৮৮ রান করা মুশফিকের ব্যাটে ভরসা করাটা কঠিন। কিন্তু সেই কঠিন কাজটিই এই টেস্টে করে দেখালেন অভিজ্ঞ এ ব্যাটার।

চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক শান্তর সঙ্গে দুশো রানের জুটি, তার আগে দেড় বছর পর শান্তর তিন অঙ্ক ছোঁয়া। এর পরই এলো মুশফিকের মুহূর্ত। গত বছরের আগস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯১ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসটির ১৩ ইনিংস পর আবার নিজের উইলোটা উঁচিয়ে ধরলেন মুশফিকুর রহিম। পেলেন ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি, লঙ্কানদের বিপক্ষে যা চতুর্থ।

দিনের শেষভাগে ৮৬তম ওভারে আসিথা ফার্নান্দোর বলে শান্তর আহ্বানে ঝটপট সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক। তিন অঙ্ক ছুঁতে শান্ত খেলেছিলেন ২০২ বল, মুশফিকের প্রয়োজন হয় ১৭৬ বল। ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি মারেন তিনি।

২০২২ সালে ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে খেলা শেষ দুই টেস্টের দুটোতেই যে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। চট্টগ্রামে ১০৫ রানের ইনিংসের পর মিরপুরে খেলেছিলেন অপরাজিত ১৭৫ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস। প্রিয় প্রতিপক্ষকে পেয়ে আবার জ্বলে উঠলো তার উইলো। এই গলেই ২০১৩ সালে ৬৩৮ রানের পাহাড়সম ইনিংসে প্রথমবারের মতো দেশের হয়ে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। 

দিনশেষে ওই ৩ উইকেটেই ২৯২ রান তুলে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। শান্ত ২৬০ বলে ১৩৬ এবং মুশফিক ১৮৬ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত থেকে ফেরেন। দুজনের ৭৩.৫ ওভারের জুটিতে আসে ২৪৭ রান।


আমার বার্তা/এমই