দুই বছরের শিশুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড!

প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৩, ১৭:১১ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক

সিনেমায় হিরক রাজার দেশের রাজার শাসন দেখেছে দর্শক। সেটা ছিল কাল্পনিক। তবে, বাস্তবেও যে এমন একনায়ক শাসনব্যবস্থা হতে পারে তা হয়তো অনেকে চিন্তুও করতে পারেনি। 

তেমনই একনায়ক শাসক হিসেবে বর্তমান বিশ্বের ত্রাস হিসেবে গত ১৩ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন সরকার।

সম্প্রতি সেখানকার একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। মাত্র দু’বছরের একটি শিশুকে দেশটির আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। যদিও ছেলেটির কোনো দোষ ছিল না। তবে, বাবা-মায়ের অপরাধের সাজা ভুগতে হচ্ছে তাকে। এর মাধ্যমে একনায়ক কিম জং উনের বার্তা, অপরাধ করলে কাউকেই রেহাই দেয়া হবে না।

অভিযোগ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের কাছে বাইবেল পাওয়া গেলে কড়া শাস্তির বিধান রয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। যারা বাইবেল নিজেদের কাছে রাখছেন, তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের অন্য সদস্যেরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পাচ্ছেন। তেমনই এক ঘটনায় সাজা দেওয়া হয়েছে দু’বছরের শিশুকে, সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সে কথা। অভিযোগ, তার বাবা এবং মায়ের কাছে বাইবেল ছিল। তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর শিশুটিকে হাজতে পাঠিয়েছে সরকার।

উত্তর কোরিয়া খাতায়কলমে নাস্তিক দেশ। তবে সংবিধান অনুযায়ী সেখানে কোনও বিশেষ ধর্ম অনুসরণ করায় বাধা নেই। আমেরিকার একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় গত কয়েক বছরে ৭০ হাজার খ্রিস্টানকে কারাবাসে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডও পেয়েছেন অনেকে। ওই রিপোর্টেই দু’বছরের শিশুকে সাজা দেওয়ার কথা প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগ, ২০০৯ সালে বাইবেল নিজেদের কাছে রাখা এবং খ্রিস্টান ধর্ম পালনের অপরাধে শিশুটির বাবা-মাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তার পর থেকে সরকারের হুকুমে রাজনৈতিক কারাগারে জীবন কাটাচ্ছে শিশুটি।

রিপোর্টে আরও দাবি, জেলে বন্দিদের উপর অত্যাচার করা হয়। নানা শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হন উত্তর কোরিয়ার বন্দিরা।

২০১০ সাল থেকে উত্তর কোরিয়া শাসন করছেন কিম জং উন। দেশে তাঁর কথাই ‘বেদবাক্য’। একনায়ক কিমের উপরে আর কেউ কথাই বলতে পারেন না। কিমের আগেও দেশটিতে একনায়কতন্ত্রই প্রচলিত ছিল। অভিযোগ, সেখানে হামেশাই লুণ্ঠিত হয় মানবাধিকার। শাসক তাঁর সুবিধা অনুযায়ী দেশ চালান। নিয়ন্ত্রণ করা হয় নাগরিকদের স্বাভাবিক গতিবিধিও।

এবি/ জিয়া