চাল দিয়ে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিক তৈরি হচ্ছে

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৩, ১৮:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক

এতদিন শোনা যাচ্ছিল প্লাস্টিক দিয়ে নকল চাল তৈরি করা হচ্ছে এবং সেটিকে সিদ্ধ করে ভাত হিসাবে খাওয়া হচ্ছে। তবে এবার জাপানের ফুকুসিমায় উৎপাদিত চাল ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টিক তৈরিতে। অভিনব এ পদ্ধতিটি চালু করেছে জাপানের টোকিওভিত্তিক একটি বায়োম্যাস প্রতিষ্ঠান। 

জানা গেছে, জাপানে বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে ধান চাষ করা হচ্ছে। তবে এ চাষ মানুষের খাবারের জন্য নয়। অবাক করার বিষয় হচ্ছে- উৎপাদিত ধান খাবারের জন্য ব্যবহার না করে ব্যবহার হবে প্লাস্টিক তৈরিতে। 

২০১১ সালের মার্চে পারমাণিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নজিরবিহীন বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে জাপানের ফুকুসিমা অঞ্চল। এর ফলে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ মাত্রার তেজস্ক্রিয় বিকিরণ। এর পরই জনশূন্য হয়ে পড়ে শহরের পর শহর। ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন বিদ্যুৎকেন্দ্রের আড়াই মাইল দূরে অবস্থিত নামি শহরের বাসিন্দারাও।

তবে এক যুগের ব্যবধানে বর্তমানে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। আবারও এ অঞ্চলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। দুর্যোগের আগে থাকা ২১ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে ফিরেছে হাজার দুয়েক।  

৮৫ বছর বয়সি কৃষক জিনিচিয়াবের হাত ধরে এক যুগ পর নামি অঞ্চলে শুরু হয়েছে কৃষিকাজ। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মনে করে এ অঞ্চলের চাল খাচ্ছে না মানুষ। তাই বায়োম্যাস রোসিন নামে টোকিওভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান এ চাল দিয়ে প্লাস্টিক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। 

এ কৃষক জানান, নিজের শহরটাকে পুনর্গঠন করতে চেয়েছি। এ কারণে আমি সবার সঙ্গে কথা বলে বায়োম্যাস এর সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আমি জানি না আমার শহর কবে আবার আগের রূপে ফিরবে। তবে নামি একদিন আগের থেকেও সুন্দর শহরে পরিণত হবে। 

বর্তমানে টোকিওভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি এলাকাটিতে একটি ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠা করেছে। চালের সঙ্গে অন্য উপাদানের মিশ্রণে মূলত তারা প্লাস্টিকের দানা তৈরি করে। পরে তা থেকে তৈরি হয় চামুচ, শপিংব্যাগসহ অন্যান্য পণ্য।

বায়োম্যাস রেসিনের প্রেসিডেন্ট তাকিমিতসু ইমাজু জানান, এ এলাকায় মানুষ তখনই ফিরে আসবে, যখন পর্যাপ্ত কাজ থাকবে। আমার মনে হয়েছে, এখানে একটি কারখানা তৈরি করলে কিছুটা হলেও এ অঞ্চলের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারবে। শুধু তাই নয়, দুর্যোগের পর এলাকায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। এ বসতি ফিরিয়ে আনতে নেওয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ।

এবি/ জিয়া