ইবির কেন্দ্রীয় মসজিদের প্রশংসা আমেরিকান দূতাবাসের পেজে

প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৭:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ

  আজাহারুল ইসলাম, ইবি

চোখ জুড়ানো স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য স্থাপনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ। যা দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ও ক্যাম্পাসভিত্তিক সর্ববৃহৎ মসজিদ। ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরাও মসজিদটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এবার সেই মসজিদের সম্মুখভাগের অংশের ছবি বাংলাদেশের আমেরিকান দূতাবাসের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে।

সম্প্রতি তাদের ভেরিফাইড পেজ থেকে ছবিটি পোস্ট করা হয়। ছবিটি পোস্ট করার পরপরই দেশী-বিদেশী নাগরিকরা মসজিদটির প্রশংসা করেছেন। মন্তব্যের ঘরে তারা ছবিটির প্রশংসা করে বিভিন্ন মন্তব্য লিখেছেন।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আমেরিকান দূতাবাসকে ধন্যবাদ ও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। উচ্ছ্বসিত হয়ে নিজ টাইমলাইনেও শেয়ার করছে অনেকেই। ছবিটি পাঠিয়েছেন সোলাইমান চৌধুরী নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।

পোস্টের ক্যাপশনে ছবির প্রেরককে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘জুম্মা মোবারক’ এর শুভেচ্ছা জানানো হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘সোলায়মান চৌধুরীকে অসংখ্য ধন্যবাদ কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের এই সুন্দর ছবিটি শেয়ার করার জন্য। এটি বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ।’

ইবির প্রকৌশল দফতর সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পাসে দুই দশমিক ২৫ হেক্টর জায়গাজুড়ে নির্মাণকাজ চলছে মসজিদটির। নিমার্ণকাজ শেষ হলে মসজিদটিতে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন ১৭ হাজার মুসল্লি। চারতলা বিশিষ্ট বর্গাকৃতির মসজিদটি সিরামিক ও শ্বেতপাথরে নির্মিত। সূর্যের আলোয় দিনের বেলায় মসজিদটির গা থেকে যেন উজ্জ্বল আভা ছড়ায়। সুউচ্চ গম্বুজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে এর মহিমা জানান দিয়ে যাচ্ছে।

মসজিদের নীচ তলার আয়তন ৫১ হাজার বর্গফুট। চারতলার মূল মসজিদে মোট সাত হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবে। এছাড়া মসজিদের সামনের পেডমেন্টে নামাজ পড়তে পারবে আরও ১০ হাজার মুসল্লি। মসজিদের সামনের অংশের উপরে রয়েছে ৯০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বৃহৎ গম্বুজ। নিচতলা থেকেও ভেতর দিয়ে গম্বুজটির একদম উপরের অংশ দেখা যায়। বিশাল এ গম্বুজটি মসজিদের সৌন্দর্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া মসজিদের বাউন্ডারির চারপাশে চারটি মিনার স্থাপিত হবে। যার প্রতিটির উচ্চতা হবে ১৫০ ফুট।

মসজিদের তিনপাশ দিয়ে থাকবে প্রবেশ পথ। প্রতিটি প্রবেশপথে থাকবে একটি করে গম্বুজ। মসজিদভিত্তিক ক্যাম্পাস গড়ার জন্য প্রতিটি অনুষদীয় ভবন থেকে মসজিদে আসার জন্য রয়েছে প্রশস্ত পথ। মসজিদের নিচতলায় একটি লাইব্রেরি ও রিসার্স সেন্টারের প্রস্তাবনা রয়েছে। যেখানে দেশ ও বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ও দুর্লভ বইগুলো স্থান পাবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ধর্মীয়সহ নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে পারবেন এখানে।

এবি/ জিয়া