নিরাপত্তা অবহেলায় নয় ওমরাহ কোম্পানির কার্যক্রম স্থগিত
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৫, ১৪:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ওমরাহ পরিচালনাকারী নয়টি কোম্পানির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সাতটি কোম্পানিকে ১৫ জুলাই ২০২৫-এ স্থগিত করা হয় এবং বাকি দুটি কোম্পানিকে তার কিছুদিন আগেই স্থগিত করা হয়েছে।
সৌদি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব কোম্পানি গুরুতর নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। তারা হজযাত্রীদের এমন আবাসনে রাখছিল যেগুলোর কোনো সরকারি অনুমোদন ছিল না। এসব আবাসনে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, জরুরি নির্গমন পথ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না, যা সরাসরি হজযাত্রীদের জীবনের জন্য হুমকি তৈরি করেছে।
সরকারি তদন্তে দেখা গেছে, স্থগিত হওয়া কোম্পানিগুলোর অন্তত ২২ শতাংশ হজযাত্রীদের এমন স্থানে রেখেছিল, যেগুলোর কোনো সিভিল ডিফেন্স সার্টিফিকেট ছিল না। এসব ভবন সাধারণত অতিরিক্ত ভিড়পূর্ণ, অপরিচ্ছন্ন এবং ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ফলে জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সহায়তা কিংবা নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা ছিল না।
এ ধরনের গাফিলতির কারণে মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর লাইসেন্স বাতিল, ৫ লক্ষ সৌদি রিয়ালের বেশি জরিমানা এবং ভুক্তভোগী হজযাত্রীদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ বলেছেন,
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা কোনো ধরনের অবহেলা সহ্য করবো না। ভুক্তভোগী হজযাত্রীদের ইতোমধ্যে অনুমোদিত ও নিরাপদ আবাসনে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তাদের সম্পূর্ণ সফর সুরক্ষিত রাখা হয়েছে।
এই অভিযান সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর অংশ, যেখানে হজ ও উমরাহ ব্যবস্থাপনাকে আরও নিরাপদ ও আধুনিক করার লক্ষ্য রয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রতিটি হজযাত্রীর আবাসন হতে হবে সরকার-অনুমোদিত। সফরের তথ্য ‘নুসুক’ অ্যাপের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং সেবাদানে ব্যর্থ হলে আর্থিক গ্যারান্টি থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
বর্তমানে ২০০টিরও বেশি লাইসেন্সপ্রাপ্ত উমরাহ কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যাদের কার্যক্রম আরও কঠোর তদারকির আওতায় আনা হয়েছে। মক্কা ও মদিনায় ১২০ জন পরিদর্শক নিযুক্ত করা হয়েছে যারা হঠাৎ পরিদর্শনের মাধ্যমে এসব তদারকি করছেন।
এছাড়া, report.haj.gov.sa পোর্টালের মাধ্যমে সাধারণ জনগণও যে কোনো অনিয়ম বা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগ জানাতে পারবেন। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যারা এমন অনিয়মে জড়াবে, তাদের স্থায়ীভাবে লাইসেন্স বাতিল করে ফৌজদারি মামলার আওতায় আনা হবে।
আমার বার্তা/এল/এমই