
ভিজিট মালয়েশিয়া ২০২৬, এক অনন্য ইভেন্ট সমৃদ্ধ বছর যা সারা বিশ্বের জন্য মালয়েশিয়া কর্তৃক একটি সর্বশ্রেষ্ঠ অফার। এটি সমস্ত মালয়েশিয়ানদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে কারণ তারা একসময়ের ঔপনিবেশিক ভূমিকে একটি অতি সমৃদ্ধ, বহু-সাংস্কৃতিক এবং গতিশীল দেশে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে তাদের সমস্ত সাফল্য এবং চ্যালেঞ্জগুলি নতুন সম্ভাবনায় পরিণত করে উদযাপন করে।
এ লক্ষ্যে গতকাল শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে মালয়েশিয়া ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে এবং ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ার হাইকমিশন এর আয়োজনে এক আড়ম্বরপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আনুষ্ঠানিক ভাবে রিবন কেটে এর উদ্বোধন করেন উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুহাদা ওথমান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার অনারারি কনসাল ও পিএইচপি অটোমোবাইলস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আখতার পারভেজ।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার বলেন, মালয়েশিয়া তার বাংলাদেশের বন্ধুদের স্বাগত জানাতে আগ্রহী। মালয়েশিয়ার বৈচিত্র্যময় পর্যটন এবং দারুণ আতিথেয়তার সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আগামী বছর ভিজিট মালয়েশিয়া ২০২৬ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অন্তত ৩ লাখ পর্যটক আকৃষ্ট করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে মালয়েশিয়া।
ভিসা সমস্যার বিষয়ে অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মালয়েশিয়া ই-ভিসা সেবা অত্যন্ত সহজ ও পদ্ধতিগত। সেজন্য সবাইকে অবশ্যই মালয়েশিয়া হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে উল্লিখিত লিংকটি ব্যবহার করতে হবে এবং এই জন্য কোনো ধরনের তৃতীয় পক্ষের সাহায্য গ্রহণ না করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, অরিজিনাল ডকুমেন্ট জমা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে আবেদনকারীর নাম ব্ল্যাকলিস্ট হতে পারে। প্রয়োজনে সরাসরি হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান তিনি।
"ভিজিট মালয়েশিয়া ২০২৬" একটি দেশব্যাপী পর্যটন প্রচারণা যা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং আতিথেয়তা তুলে ধরে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই প্রচারণার লক্ষ্য হল ৩৫.৬ মিলিয়ন পর্যটককে আকৃষ্ট করা এবং ১৪৭ বিলিয়ন রিঙ্গিত রাজস্ব আয় করা, যার মধ্যে ইভেন্ট, ইকো-ট্যুরিজম এবং অনন্য ভ্রমণ প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্রচারণার মাসকট হল উইরা এবং মাঞ্জা নামে দুটি মালয় সূর্য ভালুক, এবং এই উদ্যোগটি টেকসই পর্যটন প্রচারের সাথেও যুক্ত।
প্রচারণার যা অছেঃ
লক্ষ্য: ৩৫.৬ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় পর্যটকদের আকৃষ্ট করা। সেই সাথে মালয়েশিয়ার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সারা বিশ্বকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা।
লক্ষ্য: মালয়েশিয়ার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, বৈচিত্র্যময় ভূদৃশ্য এবং আতিথেয়তা প্রদর্শন করা।
মাসকট: "উইরা" (নায়ক) এবং "মাঞ্জা" (স্নেহশীল), স্থিতিস্থাপকতা এবং উষ্ণতার প্রতীক নামে দুটি মালয় সূর্য ভালুক।
স্থায়িত্ব: এই প্রচারণাটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পর্যটন শিল্পের স্থায়িত্বকেও প্রচার করছে।
বৈশিষ্ট্য: অ্যাডভেঞ্চার সন্ধানকারী, খাদ্যপ্রেমী, ইতিহাসপ্রেমী এবং যারা আরামদায়ক ও বৈচিত্রময় ছুটি কাটাতে চান তাদের জন্য সুযোগ। প্রচারণার লক্ষ্য কম পরিচিত রাজ্যগুলিকেও তুলে ধরা।
উপভোগ্য যা থাকবেঃ
গভীর অভিজ্ঞতা: অনন্য ভ্রমণ প্যাকেজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ইকো-ট্যুরিজম এবং বিশ্বমানের উৎসব আশা করা।
সাংস্কৃতিক হাইলাইটস: মালয়েশিয়ার বহুসংস্কৃতিক সমাজ এবং সমৃদ্ধ ঐতিহ্য অনুভব করার সুযোগ।
সংরক্ষণ সচেতনতা: মালয় সূর্য ভালুকের মাসকট হিসেবে ব্যবহার বন্যপ্রাণী সুরক্ষার প্রতি দেশের প্রতিশ্রুতির একটি সংকেত হিসেবেও কাজ করে।
বিনোদন: বেশ কিছু আন্তর্জাতিক শিল্পী ইতিমধ্যেই ২০২৬ সালের জন্য মালয়েশিয়ায় তাদের পরিবেশনা ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে সুপার জুনিয়র, ডে৬ এবং ব্রায়ান অ্যাডামস।
আমার বার্তা/এল/এমই

