মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী পাচারের সময় পুলিশের ওপর হামলা
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে বাংলাদেশি অভিবাসী পাচারের চেষ্টার সময় পুলিশ বাধা দিলে পাচারকারীরা পুলিশের গাড়িতে সজোরে ধাক্কা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা ৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও সন্দেহভাজন পাচারকারীরা পালিয়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ভোরে সেলাঙ্গর রাজ্যের কুয়ালা লাঙ্গাতের তেলক পাঙ্গলিমা গারং টোল প্লাজার কাছে।
কুয়ালা লাঙ্গাত জেলার পুলিশ প্রধান সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আকমালরিজাল রাদজি জানান, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পেট্রোলিং ডিউটিতে থাকা অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ও অ্যান্টি স্মাগলিং অব মাইগ্রেন্টস টাস্ক ফোর্স-এর সেন্ট্রাল ব্রিগেডের (পাসুকান গেরাকান আম) সদস্যরা কেয়ারি দ্বীপের পিজিএ পোস্টের সহায়তায় দুটি সন্দেহভাজন গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেন।
তিনি আরও বলেন, গাড়ি দুটির মধ্যে একটি ছিল ফোর-হুইল ড্রাইভ এবং অন্যটি টয়োটা ফরচুনার এসইউভি। পুলিশের ধারণা, এই গাড়ি দুটিতে অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকরা ছিলেন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে সন্দেহভাজন চালকরা তাদের ফোর-হুইল ড্রাইভ গাড়িটি দ্রুত গতিতে পেছনের দিকে চালিয়ে এনে সরাসরি পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা দেয়। এর ফলে পুলিশের গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক একই সময়ে, সন্দেহভাজনদের চালিত টয়োটা ফরচুনার এসইউভি গাড়িটিও পুলিশের গাড়িতে আঘাত করে।
পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বেগতিক দেখে পুলিশ দলের দুই সদস্য ফরচুনার গাড়িটির পেছনের টায়ার লক্ষ্য করে গুলি চালান। মোট পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়, যা ফরচুনার গাড়িটির টায়ারে আঘাত করে। এরপরেও গাড়িটি টোল পার হয়ে দক্ষিণ কেলাং ভ্যালি এক্সপ্রেসওয়ের দিকে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আকমালরিজাল আরও জানান, পুলিশ দ্রুত ফরচুনারটিকে ধাওয়া করার চেষ্টা করে এবং কিছু দূর যাওয়ার পর সেটিকে রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। গাড়ির দরজা খোলা ছিল কিন্তু ভেতরে কোনো ব্যক্তি ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, চালক ও যাত্রীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
পুলিশ এই ঘটনায় পেনাল কোডের ১৮৬ ও ৩০৭ ধারা অনুযায়ী তদন্ত শুরু করেছে। সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেয়া এবং হত্যার চেষ্টা সংক্রান্ত এই ধারাগুলোর অধীনে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
পুলিশ সন্দেহভাজন পাচারকারীদের এবং অবৈধ অভিবাসীদের পাচারে জড়িত সকলকে খুঁজে বের করতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ প্রধান।
আমার বার্তা/এল/এমই