সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশির

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৩:৩০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

রিয়াদ থেকে কাজে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন মো. জহিরুল ইসলাম (৪০)। 

শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে তার জানাজায় প্রায় হাজারও মানুষ অংশ নেন। 

নিহত মো. জহিরুল ইসলাম বেগমগঞ্জ এখলাশপুর ৮নং ওয়ার্ডের অনন্তপুর গ্রামের ইসলাম মিয়াজি বাড়ির মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। তিন ভাই চার বোনের মধ্যে জহির মেজো। তার স্ত্রীসহ এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

জানা যায়, মো. জহিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন শেষ করে নিজ এলাকায় ওয়ার্কশপের ব্যবসা দেন। তারপর ২ বছর আগে ফের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সৌদি পাড়ি জমান। গত ১৬ জুলাই রিয়াদ থেকে কাজে যাওয়ার সময় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে হাসপাতালে ভর্তি করান সহকর্মীরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জহিরুলের মরদেহ নিজ বাড়িতে এলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিকেলে বাড়ির উঠানে জানাজা শেষে নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে শায়িত করা হয়। জানাজা নামাজের ইমামতি করেন মাওলানা মনির হোসেন। 

জহিরুল ইসলামের প্রতিবেশী নুর মোহাম্মদ বাবু বলেন, জহির ভাইয়ের ব্যবহার অনেক ভালো ছিল। দেখা হলেই তিনি হাসিমুখে কথা বলতেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে তার জানাজায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক মানুষজন এসেছে। তার এমন মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছি না। তার ইচ্ছা ছিল সংসারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবে, অভাবগুলো দূর করবে। কিন্তু আজ তিনি পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। 

জহিরুল ইসলামের ভাই মহিন উদ্দিন বলেন, পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করতে আমার ভাই প্রবাসে পাড়ি দিয়েছিল। কিন্তু ২ বছরের মাথায় আজ কফিনবন্দি হয়ে ফিরেছে। আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেছি। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন।

বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিবারের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ২ বছর আগে সৌদি পাড়ি দেন মো. জহিরুল ইসলাম। তার মৃত্যুতে সবাই শোকাহত। জহিরুল ইসলাম ফিরবে এটা সবার স্বপ্ন ছিল আকাঙ্ক্ষা ছিল। কিন্তু এই ফেরা জীবনের শেষ ফেরা হবে তা কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি। এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এক নজর মরদেহ দেখার জন্য আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন। জানাজা শেষে তাকে অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় দিয়েছে সবাই। 


আমার বার্তা/এল/এমই