মালয়েশিয়ায় নিয়ে দেওয়া হয়নি কাজ, ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন ৭৪ বাংলাদেশি

প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫, ১২:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

মালয়েশিয়ার শ্রম অধিদপ্তরের নির্দেশে বকেয়া মজুরি পাচ্ছেন ৭৪ বাংলাদেশি শ্রমিক। নিয়োগকর্তার কাছ থেকে বকেয়া মজুরি এবং তাদের কর্মসংস্থান চুক্তি অনুযায়ী এক দশমিক ৫৪ মিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা) পাচ্ছেন তারা। মূলত এসব বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে কোনো কাজ বা মজুরি দেওয়া হয়নি।

কুয়ালালামপুরের শ্রম অফিস মেরান্তি বিনামাস এসডিএন বিএইচডিকে ৭৪ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে এ অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। অভিবাসী অধিকার গোষ্ঠী তেনাগানিতার মাধ্যমে এসব বাংলাদেশি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

এক বিবৃতিতে তেনাগানিতার কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ ইসমাইল বলেন, অভিবাসীদের অধিকার আদায়ে এটি একটি বড় জয়। যা বিদেশি কর্মীদের অধিকার লঙ্ঘনের জন্য নিয়োগকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এটি একটি দীর্ঘ পথ ছিল, কিন্তু অবশেষে আমরা শ্রম অফিস থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং আদেশ পেয়েছি। মেরান্তি বিনামাসকে বকেয়া অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দিয়ে শ্রম বিভাগ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, নিয়োগকর্তারা দায়মুক্তি ছাড়াই শ্রমিকদের শোষণ করতে পারবেন না।

তেনাগানিতা বলছে, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে তেনাগানিতার একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এটি আরেকটি নজির স্থাপন করে যে, শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ন্যায়বিচার দাবি করলে এমনকি বৃহৎ, আপাতদৃষ্টিতে অস্পৃশ্য কোম্পানিগুলোকেও জবাবদিহি করতে হতে পারে।

ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী কর্মীরা মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য সবাই ২৫ হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত অর্থ প্রদান করেছিলেন। কিন্তু দেশটিতে পৌঁছানোর পর তাদের কোনো কাজ বা মজুরি দেওয়া হয়নি। বরং তাদের কুয়ালালামপুরের পুডু এলাকায় এক জনাকীর্ণ হোস্টেলে রাখা হয়েছিল।

তেনাগানিতা বলছে, এ ধরনের রায় অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি ভবিষ্যতে নিয়োগকর্তাদেরকে শ্রমিকদের শোষণ করা থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করবে।

বর্তমানে দেশটির শাহ আলম হাইকোর্টে একটি পৃথক মামলা বিচারাধীন রয়েছে, যেখানে ৩৩ জন শ্রমিক তাদের এক দশমিক ৭১ মিলিয়ন রিঙ্গিত ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন। এর মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়ায় আসার জন্য দেওয়া প্রত্যেকের ২৫ হাজার রিঙ্গিত এবং ১৮ মাসের বকেয়া মজুরি।

এ মামলায় মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল, অভিবাসন মহাপরিচালক এবং সরকারকে বিবাদী করা হয়েছে। গত মার্চ মাসে দায়ের করা এ মামলা এখনো চলমান রয়েছে।


আমার বার্তা/জেএইচ