কয়রায় জামায়াতের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

খুলনার কয়রায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত নির্বাচনী প্রস্তুতি ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর ২০২৫) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মহারাজপুর ও বাগালী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় জনসাধারণ, সমর্থক ও কর্মীদের উপস্থিতিতে উঠান বৈঠকগুলো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা–৬ (কয়রা–পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। তিনি বক্তব্যে বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও জনস্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজন ন্যায়, ইনসাফ এবং সুশাসনভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা। সমাজে বিরাজমান দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, অনিয়ম ও শোষণ থেকে জনগণকে মুক্ত করতে হলে জনগণের ভোটের মাধ্যমে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা জরুরি।

তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দিতে হবে। জনগণের রায়কে সম্মান জানিয়ে আমরা কুরআন–সুন্নাহর আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে বদ্ধপরিকর।”

তার দাবি, জনগণ শান্তি, ন্যায় এবং সমান অধিকার চায়—এজন্যই তারা পরিবর্তনের আশায় নতুন নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছে।

উঠান বৈঠককে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়ে। বিভিন্ন স্থানের কর্মী–সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ বৈঠকে উপস্থিত হয়ে প্রার্থীকে তাদের মতামত ও এলাকার সমস্যা জানায়। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত জনগণের বক্তব্য শোনেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

বৈঠকগুলোতে আরও বক্তব্য দেন খুলনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার, জেলা সূরা সদস্য ও কয়রা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সেক্রেটারি শেখ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, শিক্ষার মানোন্নয়ন, কৃষক–মৎস্যজীবীর জীবনমান উন্নয়ন এবং উপকূলীয় এলাকার দুর্যোগসহনীয় অবকাঠামো নির্মাণ তাদের অগ্রাধিকার হবে। এছাড়া কয়রার নদীভাঙন রোধ, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মতো উন্নয়নমুখী প্রতিশ্রুতিও তারা বৈঠকে তুলে ধরেন।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন যে, জনগণ শান্তি ও ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্ব বেছে নেবে এবং নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উঠান বৈঠক শেষে প্রার্থী এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ ও ভোটপ্রার্থনায় অংশ নেন।