জুলাই আন্দোলনকে ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে : জাহিদুল
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের পর রাজনৈতিক দলগুলোতে বড় পরিবর্তন আসার কথা ছিল। কিন্তু একটি বিশেষ মহলে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। কেউ কেউ জুলাইকে ৭১-এর মতো ব্যবসায়িক কার্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। জুলাই আন্দোলনকে ক্রেডিটের রাজনীতি করতে গিয়ে তারা জুলাইয়ের গতি হারিয়ে ফেলছে। জুলাইয়ের গতিকেই তারা বিক্রি করে দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) রাতে পাবনার সাঁথিয়ার ফুটবল মাঠে আয়োজিত বিশাল ছাত্র ও যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, জুলাইকে বিক্রি করে তারা কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে। আজ সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যান, এখনো দুর্নীতি বন্ধ হয়নি। এজন্য কি শহীদরা জীবন দিয়েছেন? এজন্য কি শহীদ পরিবারগুলো আজও কান্না করছে? জুলাইয়ের পর আবার বাংলাদেশে দুর্নীতি চলবে- এটা হতে পারে না। আমরা বলতে চাই, আপনারা ভালো হয়ে যান। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। ইতিহাস খুব দূরে নয়, অনেক কাছেই রয়েছে। বাংলাদেশে আর সন্ত্রাসবাদ চলবে না। চাঁদাবাজির রাজনীতি চলবে না। দুর্নীতির রাজনীতি চলবে না। হত্যা করার রাজনীতিও চলবে না। পাথর মেরে মানুষ হত্যা এ রাজনীতিও চলবে না। সিলেট থেকে পাথর এনে খেয়ে ফেলার রাজনীতিও আর চলবে না।
শিবির সভাপতি বলেন, আমরা চাই কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি বন্ধ হোক। আপনারা নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে আসুন। দেশের মানুষের জন্য কী করবেন তা নিয়ে হাজির হোন। বাংলাদেশে সৎ মানুষের রাজনীতি চলবে।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৬ সালে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছিল। এরপর ক্ষমতায় এসে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করেছে হাসিনা। দিল্লির কাছে দেশকে ইজারা দিতে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। শাপলা চত্বরে আলেমদের গণহত্যা করেছে। জুলাইতে আবাবিলের মতো সব শ্রেণির মানুষ নেমে এসে হাসিনাকে পতন করেছে। সব শ্রেণির মানুষ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। জুলাই কোনো হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা নয়; এটি বহু দিনের জাগরণ। জীবন দেব, কিন্তু কোনো বাতিলের কাছে মাথা নত করব না। আদর্শিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েই জুলাই সংগঠিত হয়েছে।
নাজিব মোমেনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, নাজিবুর রহমান মোমেন শহীদের উত্তরসূরি। তিনি তরুণ প্রজন্মের আইকন। তিনি বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন। নাজিব মোমেন ভাইকে দাঁড়িপাল্লায় বিজয়ী করতে হবে, যাতে দেশে ন্যায় ও ইনসাফের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন। আদালত পাড়ায় কোনো ক্ষমতার অপব্যবহার চলবে না। বৈষম্য থাকবে না, বেকার থাকবে না। পেছনের গ্লানি মুছে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন প্রজন্মের চাহিদাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে রাজনীতি করা যাবে না। যারা পুরোনো রাজনীতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন, তারা প্রত্যাখ্যাত হবেন।
সাঁথিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, পাবনা-১ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম, পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির প্রিন্সিপাল মাওলানা ইকবাল হোসাইন, পাবনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফফার খান, পাবনা-২ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী অধ্যাপক হেসাব উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি আবু সালেহ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
আমার বার্তা/এল/এমই
