বিধিমালা সংশোধন করে শাপলা প্রতীক দেওয়ার আহ্বান নাহিদ ইসলামের
ইসির চিঠির জবাব
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:১২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

বিদ্যমান প্রতীকগুলোর মধ্য থেকে প্রতীক নির্বাচন করতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পাঠানো নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চিঠির জবাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
আজ মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) ই-মেইলে পাঠানো ওই জবাবে ইসিকে ২০০৮ সালের নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার বিধি ৯(১) সংশোধনক্রমে এনসিপির অনুকূলে শাপলা, সাদা শাপলা এবং লাল শাপলা থেকে যেকোনো একটি প্রতীক বরাদ্দের আহ্বান জানানো হয়। ইসি সচিব বরাবর ওই চিঠি পাঠান দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এনসিপিকে পাঠানো ইসির চিঠিতে বলা হয়, ‘এনসিপির ২২ জুন, ৩ আগস্ট ও ২৪ সেপ্টেম্বরের বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে, এনসিপি নামের দলটির নিবন্ধনের জন্য করা আবেদন প্রাথমিক পর্যালোচনায় বিবেচিত হয়েছে। আবেদনপত্রে প্রতীক হিসেবে পছন্দের ক্রম অনুযায়ী শাপলা, কলম ও মোবাইল উল্লেখ করা হয়। পরের দুটি আবেদনে তা পরিবর্তন করা হয়। উল্লেখ্য, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৯(১) অনুযায়ী শাপলা প্রতীক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নেই। এ অবস্থায় প্রতীকের তালিকা থেকে বরাদ্দ হয়নি, এমন একটি প্রতীক পছন্দ করে নির্বাচন কমিশনকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
এনসিপির চিঠিতে শাপলা প্রতীক দেওয়ার পক্ষে নানা ধরনের যুক্তি তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, শাপলা পেতে এনসিপি প্রেরিত ৩ আগস্ট এবং ২৪ সেপ্টেম্বরের দরখাস্তের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অদ্যাবধি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। অর্থাৎ ওই দরখাস্ত দু’টি অনিষ্পন্ন অবস্থায় রেখে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এনসিপি বরাবর ৩০ সেপ্টেম্বর চিঠি প্রেরণ করা বিধিসম্মত হয়নি বলে এনসিপি মনে করে। গণমানুষের সঙ্গে শাপলা প্রতীক কেন্দ্রিক তার গভীর সংযোগ সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। শাপলা এনসিপির শুভাকাঙ্ক্ষী, সমর্থক, কর্মী, নেতৃবৃন্দকে দেশের জনগণের সঙ্গে চমৎকার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। দেশের মানুষের ভালোবাসাকে উপেক্ষা করার শক্তি এনসিপির নেই। ফলশ্রুতিতে শাপলা ব্যতীত নির্বাচন কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বেধে দেওয়া তালিকা থেকে অন্য কোনো প্রতীক পছন্দ করা এনসিপির জন্য সম্ভবপর নয়।
এনসিপি মনে করছে, শাপলাকে প্রতীক হিসাবে অন্তর্ভুক্ত না করে শাপলা বরাদ্দ না দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কোনো আইনি ভিত্তি দ্বারা গঠিত নয়। বরং এনসিপির প্রতি বিরূপ মনোভাব ও স্বেচ্ছাচারী দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ। নির্বাচন কমিশনের এরূপ বৈরী আচরণ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে কমিশনের সদিচ্ছা ও সক্ষমতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।
আমার বার্তা/এমই