তারেক রহমান গণ-অভ্যুত্থানের নেপথ্যের একজন কুশীলব: মঈন খান
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:২৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ‘নেপথ্যের একজন কুশীলব’ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, তিনি (তারেক রহমান) তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অবদান রেখেছিলেন, যাতে করে ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান ত্বরান্বিত হয়েছিল এবং স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।’
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে লেখক ও গবেষক ড. মারুফ মল্লিক রচিত ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: নাগরিক ও জাতিবাদী জাতীয়তাবাদের সংকট’ শীর্ষক গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৭ নভেম্বর প্রজন্ম এই সভায় আয়োজন করে।
আবদুল মঈন খান বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পর বিএনপির ঝান্ডা হাতে নেন তারেক রহমান। তাঁর সুদীর্ঘ সময়ের নেতৃত্বে দেশ থেকে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ সংঘটিত হয়েছে; যার চরম পরিণতিতে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিগত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশকে একটি নতুন যাত্রায় পরিচালিত করেছে। সুদীর্ঘ ১৫ বছরের আপসহীন সংগ্রামের ফসল–২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূলমন্ত্রেই।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর ওপর বলপূর্বক বাঙালি জাতীয়তাবাদ আরোপ করে তাদের মৌলিক সত্তাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে উদ্যত হয়েছিল ’৭৫-পূর্ববর্তী সরকার। সে মুহূর্তে সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে অবতীর্ণ হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তী সময় বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারাটির অবতারণা করে বাংলাদেশের জাতি, ধর্ম, বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষকে একই সুতায় প্রোথিত করেন তিনি। বিশ্বের বুকে একটি উদার গণতান্ত্রিক সম্মানশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। এখানেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে এক অনবদ্য অ্যাপ্রোচ, সেটা আমাকে উল্লেখ করতে হবে।’
জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ এমনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল, যা একটি ফুলের মালার সমারোহ। যে মালার একেকটি ফুল হলো বাঙালি, চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, ভিল, কোল, মুন্ডা...কাজেই বুঝতে হবে, কেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তন করেছিলেন। সবাইকে একটি ফুলের মালায় তিনি গ্রোথিত করেছিলেন, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন ফুল থাকবে। কিন্তু যখন বাংলাদেশের প্রশ্ন আসবে, তখন সেটি হবে একটি ফুলের মালা।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, লেখক ও গবেষক ড. মারুফ মল্লিক প্রমুখ।
আমার বার্তা/এমই