জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ ৪ দাবি বাসদের

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১২:২৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান করা, দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক গণসমাবেশে দলটি এসব দাবি জানায়।

গণসমাবেশে বক্তারা বলেন, এদেশের মানুষ অন্যায়ের কাছে মাথানত করেনি বলে ২০২৪ সালে অভ্যুত্থান হয়েছে। কিন্তু জনগণ জীবন ও রক্তের বিনিময়ে যে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে, পরবর্তীতে শাসকেরা পরাজিতদের আশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে এবং তাদের পথই অনুসরণ করে। এক দখলবাজের পরিবর্তে আরেক দখলবাজ, এক দুর্নীতিবাজের পরিবর্তে আরেকজন ক্ষমতায় আসীন হয়। তাই অভ্যুত্থানের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বারবার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

তারা আরো বলেন, এক বছর যেতে না যেতেই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পদদলিত করা শুরু হয়েছে। সারা দেশে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি-তোলাবাজি, মব সৃষ্টি করে হামলা ও হত্যা, নারীর সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ, মোরাল পুলিশিং, ধর্ষণ-ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, মাজার-বাউল আখড়া ভাঙা, নারীদের ফুটবল খেলায় বাধা, প্রতিষ্ঠান-স্থাপনা দখল, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ভাঙচুর, ঐতিহাসিক স্মারক ভাঙচুর, দুর্নীতির নানা খবরে দেশের মানুষ বেদনাহত ও ক্ষুব্ধ। জনমনে প্রশ্ন, সরকার কী তাহলে মবকে প্রশ্রয় দিচ্ছে? অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বক্তব্য-বিবৃতি, নানা পদক্ষেপ; বিচার, সংস্কার, নির্বাচনের কাজে মনোযোগ না দিয়ে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে চট্টগ্রাম বন্দর টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেওয়া, রাখাইনে করিডোর, তুরস্ককে অস্ত্র তৈরির কারখানা নির্মাণের অনুমতি দেওয়া ও স্টার লিংকের সঙ্গে  চুক্তি ইত্যাদি কাজ করায় জনগণের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের জন্য দিচ্ছে। স্বৈরাচার পতনের পর এমনটা হবে মানুষ সেটা চায়নি। কিন্তু হতাশ হলে সমস্যা দূর হবে না। তাই জনগণের কাছে আমাদের আহ্বান-আসুন, সোচ্চার হই। 

তাদের দাবিগুলো হলো:

১. গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচার দৃশ্যমান কর, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা।

২. মব সন্ত্রাস বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।নিপীড়নকারীদের শাস্তি।

৩. দেশের স্বার্থ বিপন্ন করে চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা দেওয়া, রাখাইনে করিডোর, তুরস্ক-কাতারের সঙ্গে সমরাস্ত্র কারখানা নির্মাণের চুক্তি করা চলবে না। স্টার লিংকের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল করা।

৪. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের আঙ্ক্ষা পূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে সংগ্রাম জারি রাখা।

আমার বার্তা/এল/এমই