করিডরের নামে আরেকটা ইসরায়েল তৈরি হতে দেওয়া যাবে না: ফজলুর রহমান
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৫, ১৬:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

আন্তর্জাতিক করিডরের নামে সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়ে দেশের ভৌগোলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলা হচ্ছে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, এই করিডর শুধু বাণিজ্যের নয়, এটি একটি ষড়যন্ত্র। আরাকানদের করিডর দিয়ে আমাদের সীমানায় আরেকটা ইসরায়েল গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, আজ সব বিষয়ে আলোচনা হয় কিন্তু নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। এটি সুস্থ রাজনীতির সংকটের ইঙ্গিত দেয়। অনির্বাচিত শাসন দীর্ঘমেয়াদে একটি জাতির জন্য ধ্বংস ডেকে আনে।
আন্তর্জাতিক করিডরের বিরোধিতা করে বিএনপি চেয়ারপারসনের এ উপদেষ্টা বলেন, আমরা দেখছি সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে অথচ দেশের জনগণের নিরাপত্তা ও স্বার্থ উপেক্ষিত। করিডরের নামে বাস্তবে একটি ভিন্নধর্মী শক্তিকে স্থান দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আরাকানদের প্রবেশের সুযোগ দিয়ে যেন সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি নতুন ‘ইসরায়েল’ গড়ে তোলা হয়, এমন শঙ্কা জনগণের মধ্যে রয়েছে। এটা দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে স্পষ্ট ষড়যন্ত্র।
পর্যটন খাতে সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে ফজলুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনে সাধারণ মানুষ যেতে পারছে না। ফেরি ও স্টিমার অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে। স্থানীয়রা হাজার কোটি টাকার ব্যবসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি শুধু অব্যবস্থা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত বঞ্চনার অংশ, যা রাষ্ট্রীয় অবহেলার ফল।
জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য ছাড়া বিকল্প নেই। বিভাজনের রাজনীতি যদি বন্ধ না হয় এবং স্বচ্ছ নির্বাচন ও সমঅধিকারের পরিবেশ নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে পড়বে।
এসময় ভৌগোলিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আমি জমি কিনতে পারব না কেন? এটা তো আমারই দেশ। অথচ ভারতের স্বার্থে করিডর দেওয়া হচ্ছে। লাখো মানুষ পানির সংকটে ভুগছে, সেগুলো নিয়ে সরকারের কোনো চিন্তা নেই।
তিনি সতর্ক করে বলেন, আমরা চাই না এই দেশটা গাজায় রূপান্তরিত হোক। আবার এটাও চাই না, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে যেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। আমাদের জাতীয়তাবাদী চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
এসময় আরও বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাবেক স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নানসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হামিদ মোহাম্মদ জসিম এবং ফোরাম সেক্রেটারি এরফানুল হক নাহিদ।
আমার বার্তা/এমই