আমাদের লড়াই গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য: কর্নেল অলি

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, আমরা সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য লড়াই করে যাচ্ছি। কারণ, জনগণের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি, রাজনীতির জন্য জনগণ নয়।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন এলডিপির প্রেসিডেন্ট।

অলি আহমদ বলেন, ‘১৫ বছর ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখে সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কোথাও জবাবদিহি নেই। আইন ও বিচার ব্যবস্থা জনসাধারণের স্বার্থরক্ষায় ব্যর্থ। প্রশাসনে দুর্নীতি। দেশে বাকস্বাধীনতা নেই। জনগণ জিম্মি হয়ে আছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের দমন করার জন্য সমগ্র প্রশাসনকে লেলিয়ে দিয়েছে। আইন-প্রয়োগকারী পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আদালত ও জেল-হাজতের পেছনে শতশত কোটি টাকা খরচ করছে। এই টাকা শ্রমিকের কর্মসংস্থানে ব্যয় করা যেত। কেন রাষ্ট্রীয় সম্পদ এভাবে লুটিয়ে দেয়া হচ্ছে - এর সদুত্তর কে দিবে?’

এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে। শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছে। শত শত গার্মেন্ট বন্ধ হয়ে রয়েছে। ডলার রিজার্ভ সংকটাপন্ন। দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতিতে মানুষ আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচার লড়াইয়ে পর্যুদস্ত।’

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন- নিপীড়ন বন্ধ করুন। মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করে নিন। অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া বন্ধ করুন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন।’

কর্নেল অলি বলেন, ‘জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছাড়া নিশিরাতে বা বন্দুকের জোরে নির্বাচন করা হলে তা বর্তমান সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। দেশের জনগণকে জিম্মি করে দেশে কি শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে? ইতিহাস তা সাক্ষী দেয় না। দেশের সার্বভৌমত্বকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকার, ও সবার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। দেশের অর্থনীতি ও গরীব মেহনতী মানুষের সমস্যা বিবেচনায় নিন। দেশকে ধ্বংস থেকে রক্ষা করার ব্যাপারে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ছোটবড় সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আবেদন করছি, নিজ নিজ জায়গা থেকে লোভ-লালসার উর্ধ্বে গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে। প্রশাসনিক শক্তির অপব্যবহার করে ভাগ-বাটোয়ারার নির্বাচন করার চিন্তা পরিহার করতে হবে।’

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাহসিকতার সঙ্গে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করুন। ভয় পেলে চলবে না। মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হলো তার আত্মসম্মান। সেই সম্মান হারিয়ে কি হবে, একবার ভেবে দেখুন। আপনাদের নীরবতা দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে। নিজের নাগরিক অধিকার আদায়ে সোচ্চার হোন। অন্যথায় কেউ এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার পথ পাবেন না। দেশের নিপীড়িত ও মেহনতী মানুষের দীর্ঘশ্বাসে সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।’

 

আমার বার্তা/এমই