আলোচিত মিতু হত্যার আসামি কালু গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩, ১৪:৩২ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক

আলোচিত মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি খাইরুল ইসলাম কালুকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। গরীব আকবর শাহ থানার ছিন্নমূল এলাকা থেকে শুক্রবার গভীর রাতে কালুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার একটি মামলায় পিবিআই কালুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশকে হস্তান্তর করে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মাহবুব মিল্কী। 

তিনি বলেন, সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী  মিতু হত্যা ছাড়াও ২০১২ সালে রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশের উপর হামলা মামলার পলাতক আসামি ছিলেন কালু। পিবিআই তাকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার করে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে।

পিবিআইর দাবি কালু মিতুকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন । মিতু হত্যামামলা তদন্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই। সেখানে মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলকেই খুনের পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। 

পিবিআইর এক কর্মকর্তা জানান, “মিতু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সে পালিয়ে ছিল। আকবর শাহ এলাকায় ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি জায়গায় প্রহরী হিসেবে কাজ করত কালু।”

ঘটনার বিবরণীতে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। 

হত্যাকাণ্ডের ১৯ দিন পর ওই বছরের ২৪ জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরের বাসা থেকে বাবুলকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। হত্যা ঘটনার কয়েকদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বদলি হয়েছিলেন বাবুল। আর পুলিমের জিজ্ঞাসাবাদের কিছু দিন পর পুলিশের চাকরিও ছেড়ে দেন বাবুল।

২৬ জুন মো. আনোয়ার ও মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম নামে ২ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় পুলিশ। এর ২ দিন আগে বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পরে আনোয়ার ও মো. মোতালেব আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছার ‘পরিকল্পনাতেই’ এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়।

জবানবন্দিতে ওয়াসিম জানান, নবী, কালু, মুছা ও তিনি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। নবী ও কালু মিতুকে ছুরিকাঘাত করেন।

এদিকে মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার ২০১৬ সালের ৪ জুলাই চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছিলেন, ওই বছরের ২২ জুন বন্দর থানার তৎকালীন ওসি মহিউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বন্দর এলাকায় তার এক পরিচিত ব্যক্তির বাসা থেকে মুছাকে ধরে নিয়ে যান।  

 পুলিশের পক্ষ থেকে ঐ দাবি নাকচ দিয়ে  এর ৩ মাস পর ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর সিএমপি তৎকালীন কমিশনার ইকবাল বাহার মুছা ও কালুর সন্ধান পেতে ৫  লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। যদিও খুনের পর মুছার সন্ধান এখনও জানা যায়নি।

হত্যাকাণ্ডের ৭ বছর পূর্তির ৩ দিন আগে কালু গ্রেপ্তার হলেও মুছা এখনও পুলিশের চোখে  পলাতক।

পিবিআই তদন্ত করতে গিয়ে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে ২০২১ সালের মে মাসে ওই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় । 

এ বছরের ৯ এপ্রিল প্রথম সাক্ষী মিতুর বাবা মোশাররফের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাবুলসহ ৭ আসামির বিচার শুরু হয়।

বাবুল ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু। 

এবি/টিএ