বাংলাদেশকে নিরন্তর সুমহান উচ্চতার সর্বোচ্চ শিখরে নেওয়ার স্বপ্ন : অর্থমন্ত্রী

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩, ২৩:১০ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক

সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে তিনি প্রস্তাবিত বাজেটে কৌশল প্রণয়ন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

অর্থমন্ত্রী সম্পদের সীমাবদ্ধতা, ডলারের তীব্র সংকট ও বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যেও দেশকে ‘নিরন্তর সুমহান উচ্চতার সর্বোচ্চ শিখরে’ নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন।  

১ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট  পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল । 

 গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে জানিয়ে, বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে নিরন্তর সামনে এগিয়ে যাওয়ার। বাংলাদেশ এখন অন্য সব দেশের জন্য উন্নয়নের ‘গ্লোবাল রোল মডেল’ হিসেবে চিহ্নিত। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের আগেই বিশ্বের শীর্ষ ২০তম অর্থনীতির তালিকায় পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ । বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে। 

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, নিজস্ব উৎস থেকেই ঘাটতির জোগান বাড়ানো হবে। বাজেট ঘাটতি মেটাতে ধীরে ধীরে বৈদেশিক খাতের ওপর নির্ভরতা আরও কমানো হবে।  প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগানো হবে। 

সব পেশাজীবীর নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবার প্রচেষ্টায় শূন্য থেকে ধীরে ধীরে মহীরুহে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। 

জনগণের জন্য নতুন নতুন আশা ও সুযোগ-সুবিধার সমন্বয় করা হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সব মানুষের আশা, প্রত্যাশা ও উন্নয়ন ভাবনার প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যয়ে সাজানো হয়েছে আগামী অর্থবছরের বাজেট। ফলে এ বাজেট জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে। 

এর মধ্যে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কমানো বা বাড়ানো, জুলাই থেকে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া ও সুদের হারের সীমা তুলে দেওয়া হবে  আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়নে।  অর্থমন্ত্রী বাজেটে এইসব ছাড়াও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এছাড়া রাজস্ব আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছেন জানিয়ে তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, এর দ্বারা অর্থনীতিতে সৃষ্ট ক্ষতের কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি।

তিনি দরিদ্রদের কম দামে ও বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বেকারদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর কথা বলেছেন। 

তবে আর মাত্র ৬ মাস পরই জাতীয় নির্বাচন। ফলে এ বাজেট ২ টি সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের সময়ই ক্ষমতাসীন সরকার ভোটারবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করে। নির্বাচনি বছরে ভোটারদের খুশি করতে থাকে নানা খাতে করছাড়, প্রাপ্তির মাত্রাও থাকে বেশি। তবে এবার নির্বাচনকে সামনে রেখে তেমন কিছু করা হয়নি। 


 

এবি/টিএ