গাজীপুরের নগরমাতা জায়েদা খাতুন

প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩, ১০:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক

নতুন মেয়র হিসেবে গাজীপুরবাসি জায়েদা খাতুনকে নির্বাচিত করেছেন। নির্বাচনে তিনি ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। 

প্রায় ১২ লাখ ভোটারের এলাকা দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করা এই নির্বাচনের আগে মেয়রের মা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জায়েদা খাতুন। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে তিনি হারিয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আজমতউল্লা খানকে।

৪৮০টি কেন্দ্রের ফলাফলে টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে জায়েদা খাতুন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট এবং তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে আজমত উল্লা খান ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট পেয়েছেন।

মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। প্রদত্ত ভোট ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০, যা মোট ভোটের ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

প্রথমবার ২০১৩ সালের নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থী এম. এ মান্নানের কাছে হেরেছিলেন আজমত। বলা যায়, এবারের হারে গাজীপুরে তাঁর রাজনীতির পথ অনেকটাই সংকুচিত হলো।

ফল ঘোষণার পরপরই সেখানে উপস্থিত গাজীপুরের সাবেক মেয়র, আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলম নিজের প্রতিক্রিয়ার বলেন, ‘এই জয় গাজীপুরে মানুষের।’

নির্বাচনে না থাকলেও বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী (হাতি) সরকার শাহনুর ইসলাম (রনি সরকার) পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট, মাছ প্রতীকের আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪, গোলাপ ফুলের মো. রাজু আহমেদ ৭ হাজার ২০৬ ও ঘোড়া প্রতীকের হারুন অর রশিদ ২ হাজার ৪২৬ ভোট পেয়েছেন। 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নৌকা প্রতীকে গাজীপুরের মেয়র নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মেয়াদ শেষের আগেই নিজের পদ হারাতে হয় তাঁকে। দল থেকে সাময়িক বরখাস্তও হন। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পর স্থায়ী বহিষ্কার হন তিনি। কিন্তু নিজের বয়স্ক মাকে নিয়ে মাঠে ছিলেন। ‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্রের শীর্ষ সংগীত ‘আম্মাজান আম্মাজান আপনি বড় মেহেরবান’ গান বাজিয়ে গত কয়েক দিন ধরে ছুটেছেন গাজীপুরের এ মাথা থেকে ও মাথা। 

এবি/ জিয়া