প্রথম আলোর কার্যালয় এখন পুলিশের ‘ক্রাইম সিন’

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর আসার পর গতকাল রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় আজ (শুক্রবার) সকালে আগুন পুরোপুরি নেভাতে সক্ষম হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এদিকে সকালে প্রথম আলোর প্রধান ফটকের সামনে ‘ক্রাইম সিন’ লেখা ফিতা টানিয়ে দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।  

এই ফিতায় লেখা—  ‘ডু নট ক্রস’। পাশাপাশি সিএ ভবনের পাশেও ক্রাইম সিন ঘোষণা করে জনসাধারণের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা অঞ্চলটিকে ‘ক্রাইম সিন’ ঘোষণা করছি৷ একটু পর আমাদের কেমিক্যাল এক্সপার্ট টিম আসবে৷ ভেতরে আলামত সংগ্রহ করা হবে৷ এই মুহূর্তে শুধুমাত্র ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ভবনটির ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন৷

পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘ক্রাইম সিন’ লিখে বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রাখার অর্থ হচ্ছে, ওই বেষ্টনী পেরিয়ে কেউ কার্যালয়ে কেউ প্রবেশ করতে বা বের হতে পারবে না। অপরাধ তদন্তের জন্য সেখান থেকে পুলিশ আলামত সংগ্রহ করছে। পুলিশের তদন্তকাজের এ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যালয় কার্যত বন্ধ থাকবে।

এর আগে গতকাল রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রথম আলো ভবনে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাংচুর করা হয়৷ এ ভবনের নিচে থাকা প্রথমা প্রকাশনীও জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন৷ 

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন ঢাকা-৮ আসনের স্বত্রন্ত্র প্রার্থী এবং রাজনৈতিক আন্দোলন ‘ইনকিলাব মঞ্চে’র মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হসপিটালে (এসজিএইচ) নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি৷ 

ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে অন্তর্বতী সরকার।