দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

এবার ঘুষ গ্রহণ, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রের দুর্নীতিবিরোধী এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক কোনো চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা ও অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম।
ইকবাল মাহমুদ কর্মজীবনে চৌকস আমলা ছিলেন। তিনি একাধিক মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। সিনিয়র সচিব হিসেবে তিনি চাকরিজীবনের ইতি টেনেছিলেন। পরে ২০১৬ সালের মার্চে তৎকালীন সরকার তাঁকে স্বাধীন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুদকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়। দায়িত্ব নেওয়ার পরই তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেন। দুর্নীতির মামলার কয়েকশ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। সেই সময়কার চেয়ারম্যান এখন নিজেই দুদকের কাঠগড়ায়।
সূত্র জানায়, ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বাধীন ওই সময়ের কমিশনের দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান ও মো. জহুরুল হকের বিরুদ্ধেও ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি ফ্ল্যাট ক্রয়ের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান।
এরই মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হয়। স্বাস্থ্য খাতের মাফিয়াখ্যাত মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু দুদকের মামলায় কারাগারে রয়েছেন। দুদকের রিমান্ড শেষে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দুর্নীতি-সংক্রান্ত কিছু কাজে ইকবাল মাহমুদের সহায়তা পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
এই বিষয়টিও দুদক আমলে নিয়েছে। এক পর্যায়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে কমিশনের মানি লন্ডারিং শাখা থেকে। আজ-কালের মধ্যে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই সাদিক মাহমুদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আমার বার্তা/জেএইচ
