বাংলাদেশে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি: ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

বিশ্বব্যাপী অনলাইন স্বাধীনতা কমলেও বাংলাদেশে গত এক বছরে পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে—এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউস।

গত শুক্রবার প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ প্রতিবেদনে জানানো হয়, মূল্যায়নে থাকা ৭২টি দেশের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতার অগ্রগতিতে বাংলাদেশ সবার শীর্ষে রয়েছে। এই পর্যালোচনা ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত সময়কে ভিত্তি করে করা হয়েছে।

ফ্রিডম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থী আন্দোলনের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন কর্তৃত্ববাদী সরকার অপসারিত হওয়ার পর দেশের অন্তর্বর্তী সরকার ডিজিটাল খাতে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। এর ফলে বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতার স্কোর ১০০-এর মধ্যে ৪০ থেকে বেড়ে ৪৫-এ পৌঁছেছে—যা গত সাত বছরে সেরা অবস্থান।

তবে উন্নতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনও ‘আংশিক মুক্ত’ দেশের তালিকায় রয়ে গেছে। ২০১৩ সাল থেকে দেশটি এ শ্রেণিতেই অবস্থান করছে।

কোন কোন মানদণ্ডে স্কোর নির্ধারণ হয়?

ফ্রিডম হাউস তিনটি মূল বিষয়ের ভিত্তিতে অনলাইন স্বাধীনতার মূল্যায়ন করে—

ইন্টারনেট ব্যবহারে বাধা

অনলাইন কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ

ব্যবহারকারীর অধিকার লঙ্ঘন

এই তিনটি ক্ষেত্র ধরে মোট ২১টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি দেশের স্কোর নির্ধারিত হয়।

বাংলাদেশে যেসব পরিবর্তন ঘটেছে

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার এমন একটি নীতি নেয় যাতে ইন্টারনেট বন্ধ না করে উন্মুক্ত রাখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং ইন্টারনেট প্রবেশাধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

২০২৫ সালের মে মাসে বিতর্কিত সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট (সিএসএ) বাতিল করে নতুন সাইবার সিকিউরিটি অর্ডিন্যান্স (সিএসও) জারি করা হয়। এতে অনলাইন হয়রানি ও যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে কিছু ইতিবাচক ব্যবস্থা থাকলেও, বক্তব্যের জন্য শাস্তি এবং নজরদারি–সংক্রান্ত বেশ কিছু উদ্বেগ আগের মতোই রয়ে গেছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থান

দক্ষিণ এশিয়ার তুলনায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও ভারত ও শ্রীলঙ্কার সমপর্যায়ের অবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি।

পাকিস্তান ২৭ পয়েন্ট পেয়ে ‘মুক্ত নয়’ হিসেবে চিহ্নিত

শ্রীলঙ্কা ৫৩ পয়েন্ট

ভারত ৫১ পয়েন্ট—দুটিই ‘আংশিক মুক্ত’ শ্রেণিতে


আমার বার্তা/জেএইচ