দুদকের অভিযান: চসিকের ৪০ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৪১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) দুটি প্রতিষ্ঠানের পৌরকরের নথিতে ঘষামাজা করে ৪০ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ তদন্তে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের একটি দল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় দুদক কর্মকর্তারা নথি পর্যালোচনা ও চসিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশনের কর নির্ধারণের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক মূল্যায়নে ইছহাক ব্রাদার্সের হোল্ডিংয়ের বিপরীতে ২৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা করের স্থলে আপিল রিভিউ বোর্ডে উপস্থাপনের সময় ২০ কোটি টাকা কম দেখানো হয়। সেই সঙ্গে ইনকনট্রেন্ড ডিপোর ক্ষেত্রে ২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আপিল রিভিউ বোর্ডে দেখানো হয় ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। উভয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ২৬ ও ২৫ কোটির দুটি ‘২’ মুছে দেওয়া হয়। এতে কম যায় ২০ কোটি করে ৪০ কোটি টাকা।

অভিযানকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের দুদকের সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে দেখেছি নথিতে ঘষামাজা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের মালিকেরও যোগসাজশ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। যেহেতু তারা সুবিধাভোগী। স্বাক্ষর বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে। বিস্তারিত তদন্তে ব্যাংক হিসাব তদন্ত করা হবে।’

এ বিষয়ে চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন বলেন, ‘২০১৭-১৮ সালে চসিকের শেষ মূল্যায়নকে ভিত্তি করে দুই কনটেইনার ডিপোতে অনিয়মটা হয়েছে। ২৬ কোটি এবং ২৫ কোটিকে ঘষামাজা করে ৬ কোটি ও ৫ কোটি দেখানো হয়েছে। একজন টিও (কর কর্মকর্তা) এবং দুজন ডিটিও (উপ-কর কর্মকর্তা) সরাসরি দায়ী ছিলেন। হিসাব সহকারীরা বিষয়টি জানতেন। কর্মরত দুজনকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হিসাব সহকারীদের ওএসডি করেছি। তাদেরও ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব দেওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থায় চলে যাব। একজন অবসর নিয়েছেন। অবসরোত্তর সুবিধাগুলো স্থায়ীভাবে স্থগিত করেছি। ক্ষতি নির্ধারণের বিষয় ছিল।’

আশরাফুল আমিন আরও বলেন, ‘সরকারি অন্য কোনো সংস্থা অন্য কোনো ব্যবস্থা নিলে আমরা সহযোগিতা করবো। ২০২৩ সালে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। প্রতিবেদন আসার সঙ্গে সঙ্গে মেয়র ব্যবস্থা নিয়েছেন। তিনি বিভাগীয় প্রধানদের নিয়মিত পরিদর্শনের নির্দেশনা দিয়েছেন। রিভিউ বোর্ডের আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রতিষ্ঠান দুটির কর ২৬ কোটি ও ২৫ কোটি ধরে পুনরায় আদায় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

আমার বার্তা/এল/এমই