১৫ দিন ধরে ফাঁকা জনপ্রশাসন সচিবের পদ
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রশাসন সচিবের পদ গত ১৫ দিন ধরে ফাঁকা রয়েছে। নানা জটিলতায় সরকার এই পদে কাউকে নিয়োগ দিতে পারছে না।
একদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর পছন্দের কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিতে ক্রমাগত চাপ, অন্যদিকে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে যোগ্য কর্মকর্তাকে নিয়োগের চ্যালেঞ্জ সরকারের সামনে। এসব চ্যালেঞ্জ উৎরে অন্তর্বর্তী সরকার জনপ্রশাসন সচিব নিয়োগ দিতে পারছে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিবের দায়িত্ব চালিয়ে আসা মো. মোখলেস উর রহমানকে গত ২১ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) হিসেবে বদলি করা হয়। নানা বিতর্কের মুখে তাকে এ পদ থেকে সরানো হয়।
এরপর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ও প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু শাহীন মো. আসাদুজ্জামান সচিবের রুটিন দায়িত্ব চালিয়ে আসছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জনপ্রশাসন সচিবের পদ খালি হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পছন্দের কর্মকর্তাকে নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে তদবিরে নামে। কাকে রেখে কাকে নিয়োগ দেবে, একদলের সুপারিশ রাখলে আবার আরেক দল মনঃক্ষুণ্ন হয় কি না- এমন ধন্দে পড়ে যায় সরকার।
এছাড়া জনপ্রশাসনের সব সচিব নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার চাইছে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও দক্ষ কাউকে নিয়োগ দিতে। কারণ এর আগে তড়িঘড়ি করে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে এমন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, বিতর্কের মুখে তাদের সরিয়ে দিতে হয়েছে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে এমন ভুল আর করতে চায় না সরকার। তাই এ ক্ষেত্রে একটু সময় নিয়ে নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে সরকারের শীর্ষ মহল।
চলতি সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
নতুন জনপ্রশাসন সচিব হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর নাম-ই বেশি আলোচিত হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে অবসরে যাওয়া সিনিয়র সচিব মো. শামসুল আলমের নামও।
সচিব নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই। আমরা কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি।
আমার বার্তা/এমই