ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া বাতিলসহ ৫ দাবি
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:০৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

বিদ্যুৎ মিটারের ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া বাতিলসহ ৫ দাবি জানিয়েছে বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতি। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি আনাউর রহমান বলেন, আমরা বর্তমানে ১ কিলোওয়াটে ডিমান্ড চার্জ ৪২ টাকা দিয়ে থাকি। অন্যদিকে প্রিপ্রেইড মিটারের ক্ষেত্রে আমাদের ১৬৬ টাকা দিতে হচ্ছে। এই অতিরিক্ত চার্জের হিসাব আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভাগে নেই।
তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিল প্রদানের ক্ষেত্রে ০-২০০ ইউনিট পর্যন্ত প্রতি ইউনিটের মূল্য এক হতে হবে এবং স্লাপ পদ্ধতির বিল বাতিল করতে হবে। দেশে কুইকরেন্টাল ও বিদেশিদের কাছ থেকে চড়া দামে বিদ্যুৎ ক্রয় করে সরকার টাকা অপচয় করছে, যার দায় সম্পূর্ণ গ্রাহকের ওপর পড়ছে। এসব চুক্তি বাতিল করে দেশে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সোলার পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বিদ্যুতের দাম কমাতে হবে।
গাইবান্ধা জেলায় ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করা হলে সে সময় বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক তদন্ত করা হয়। পরবর্তীতে ওই বিল সমন্বয় করার কথা থাকলেও তা আজও করা হয়নি। অতিরিক্ত বিল সমন্বয় না করে প্রায় ১০০টির মতো মামলা দিয়ে গ্রাহক হয়রানি করা হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমি বিদ্যুৎ খাতের চুরি ও দুর্নীতি রোধ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাছে একটি কমিশন তৈরি করার দাবি জানাচ্ছি। তাছাড়া বিদ্যুৎ খাতে যেসব মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেসব বিষয়ে পর্যালোচনা গ্রহণ করা দরকার। যদি কমিশন গঠনে বিলম্ব হয়, তাহলে বিদ্যুৎ খাত নিয়ে একটি গণশুনানির আয়োজন করতে হবে। এছাড়া গ্রাহকের ওপর যেভাবে প্রিপেইড মিটার চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে পারলেও দুর্নীতি কিন্তু বন্ধ হয়নি। যে সরকারকে আমরা প্রতিনিয়ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি, এই সমর্থনকে তারা দুর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করছে। বর্তমানে সামাজিক নৈরাজ্য খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই নৈরাজ্যকে যদি দমানো না যায় তাহলে তা রাজনৈতিক নৈরাজ্যে পরিণত হবে। নির্বাচন যদি কোনো কারণে বিলম্বিত হয়, তাহলে বাংলাদেশে গভীর বিপর্যয় পড়তে যাচ্ছে।
এ সময় যেসব দাবি উপস্থাপন করা হয় সেগুলো হলো-
১. প্রি-প্রেইড মিটার সংযোগ বন্ধ করতে হবে।
২. ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া বাতিল করতে হবে।
৩. স্লাপ পদ্ধতির নিল বাতিল করে ০-২০০ ইউনিট পর্যন্ত ফ্ল্যাট পদ্ধতিতে বিল নিতে হবে।
৪. কুইকরেন্টালসহ বিদেশ থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ ক্রয় বন্ধ করতে হবে।
৫. পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে অধিক মনোযোগী হতে হবে।
আমার বার্তা/এমই