কাতারের ডেপুটি আমিরের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

কাতারে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হযরত আলী খান মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দোহায় আমিরি দেওয়ানে দেশটির ডেপুটি আমির শেখ আব্দুল্লাহ বিন হামাদ আল থানির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
এসময় সামরিক বাহিনীর বাদক দল বাংলাদেশ ও কাতারের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে এবং সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রদূতকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। দোহার বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
পরিচয়পত্র প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাষ্ট্রদূত কাতারের ডেপুটি আমিরের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে কাতারের ডেপুটি আমির বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন ও স্বাগত জানান। তিনি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তার শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
ডেপুটি আমির শেখ আব্দুল্লাহ বিন হামাদ আল থানি কাতারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কাতারের উন্নয়নে তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বিদ্যমান ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সুসম্পর্ককে অধিকতর উচ্চতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
ডেপুটি আমির শেখ আব্দুল্লাহ বিন হামাদ আল থানি কাতারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কাতারের উন্নয়নে তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বিদ্যমান ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সুসম্পর্ককে অধিকতর উচ্চতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
কাতারের ডেপুটি আমিরকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে রাষ্ট্রদূত হযরত আলী খান শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা একদিকে যেমন কাতারের উন্নয়নে অবদান রাখছেন, অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
কাতারের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের একনিষ্ঠ অবদানের কথাও রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ককে শক্তিশালী করার মাধ্যমে দুই দেশ পারস্পরিকভাবে লাভবান হবে বলে রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাতারের জন্য এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন। এ ছাড়াও তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চলমান সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতারের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কাতারে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফর ও প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক কাতার সফরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত হযরত আলী বলেন, এর মাধ্যমে ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময়ের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলেও রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং ডেপুটি আমিরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। কাতারের ডেপুটি আমির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের সফলতা কামনা করেন এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ছাড়াও বেলজিয়াম, কানাডা, পোল্যান্ডসহ মোট ৭টি দেশের রাষ্ট্রদূত এদিন ডেপুটি আমিরের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
আমার বার্তা/জেএইচ