মোংলা থানার ওসির বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৩:৫২ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার মোংলা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক নারীকে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছে। জমি-জমার বিরোধ নিয়ে মামলার তদন্তে গিয়ে সম্ভ্রান্ত পরিবারের এক নারীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে থানার তিন তলার তার নিজস্ব কক্ষে যেতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় এই পুলিশ কর্মকর্তা তাদের পৈত্রিক বাড়িটি এখন দখলের পায়তারা করছেন।

গতকাল সোমবার ২৭ মার্চ সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ক্রাইম বাংলাদেশ রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মোংলার সিগনাল টাওয়ার এলাকায় বসবাসকারী মোজাম্মেল হোসেনের স্ত্রী মাসুদা আক্তার নিশি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জমি জমার বিরোধ নিয়ে দায়ের করা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আমাকে কুপ্রস্তাব দেন।’

মাসুদা আক্তার নিশি বলেন, আমার শ্বশুর ইউসুফ হাওলাদার বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বাগেরহাটের ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। দেওয়ানী মামলা থাকার পর ও আরেকটি ৪৪ ধারায় মোংলা থানায় মামলা করা হয়। যার সঠিক তদন্ত করে এস আই, যার যার অবস্থানে বাদি বিবাধি আছে বলে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।

এ মামলার ইস্যুতে বিবাদি কামাল পক্ষের সাথে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ওসি মনিরুলের নির্দেশে তার লোকজন আমাদের বাড়িঘর ভাঙ্গচুর, বাড়ি দখলের চেষ্টাসহ নানাভাবে হয়রানী করেছে। 

গত ১১ ডিসেম্বর সকালে তদন্তের নামে ওসি মনিরুল ইসলাম আমাদের গেটের ভিতরে প্রবেশ করে। আমাকে দেখে বলে তোমার বয়স কম, দেখতে সুন্দরী। এক পর্যায়ে আমার হাত ধরে এবং আমার পিঠে হাত দেয়। এসময় তার হাতটা সরিয়ে দেই। তারপর তিনি আমার হোয়াইস অ্যাপ নাম্বার চান। আমার হোয়াটস অ্যাপ নাম্বার নেই জানালে তিনি মোংলা থানার তার তিন তলার কক্ষে একা দেখা করতে বলেন। দেখা করলে সব সমস্যার সমাধান হবে বলেও জানান তিনি। এসব কথা-বার্তার এক পর্যায়ে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা প্রবেশ করলে তার আচরণ পরিবর্তন করে ফেলেন। এ ঘটনার পরে ওসি আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন সময় পুলিশ পাঠিয়ে নানা রকম হয়রানী করতে থাকে। বর্তমানে ওসির লোকজন আমাদের বসতবাড়িটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে মাসুদা আক্তার নিশি মোংলা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের এমন পৈচাশিক কর্মকান্ডের বিষয়টি তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির প্রতি দাবী জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, ওসি মনিরুল ইসলাম আমার বার্তা প্রতিবেদককে বলেন, অভিযোগকারী ভদ্রমহিলা ৯৯৯ এ তিন বার কল করে। ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে দেখতে পাই জমি-জমা নিয়ে ঝামেলা চলছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার মধ্য তিনজন পুলিশ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ মহিলার সাথে কথা বলি। ভদ্র মহিলাকে আমি আগে থেকে চিনি না, আর কোথাও কিছু ঘটলে আমাদের অর্থাৎ পুলিশদেরই ছুটে যেতে হয়। মহিলা যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়।

তিনি আরো বলেন, আমি কি পাগল যে অপরিচিত এক মহিলার বাসায় চলে যাবো। আমি তদন্তের স্বার্থে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সামনেই রাস্তায় মহিলার সাথে কথা বলেছি। ওই নারী কারো প্ররোচনায় এই অভিযোগ করছে।

এবি/ জিয়া