আটাব কমিটি বাতিলকরণ ও প্রশাসক নিয়োগের আদেশে আটাব সদস্যদের ক্ষোভ

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১০:২১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে না এমন ভিত্তিহীন অসত্য অভিযোগের ভিত্তিতে  আটাবের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল ঘোষণা করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এমন কার্যক্রমে হতবাক হয়েছেন আটাব সদস্যরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে যেসব অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে তা মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। 

আটাবের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। নির্বাচনের প্রায় ১৩/১৪ মাস পরের এই সকল অভিযোগ কোনো আইনে গ্রহণযোগ্য ও যৌক্তিক নয়। কারণ বাণিজ্য সংগঠন আইন অনুযায়ী নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা থেকে শুরু করে প্রতিটি ধাপে আইন মোতাবেক আপত্তি দাখিলের সময় নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং আটাব নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেও নির্বাচনের ফলাফলে কোনো পক্ষের আপত্তি থাকলে তা দাখিলের জন্য সময় নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলো নির্বাচন কমিশন বোর্ড। তখন কেন এই ধরনের কোন অভিযোগ করা হলো না?

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১১ই ফেব্রুয়ারী আকাশপথে যাত্রী সাধারণের স্বার্থে জারিকৃত পরিপত্রের পরে টিকেট সিন্ডিকেট সদস্যগণ কর্তৃক এই সকল অভিযোগ দেয়া হয়। কারণ আটাব বর্তমান কমিটি ট্রাভেল এজেন্সি ট্রেডের সকল সদস্য ও সাধারণ জনগণের কল্যাণের স্বার্থে দেশের টিকিট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি (ওটিএ) পরিচালনার জন্য বিধিমালা প্রণয়নের জন্য সরকারের নিকট দাবি জানায়। আটাব কমিটির এসকল কার্যক্রম টিকিট সিন্ডিকেটকারীদের অবৈধ কার্যক্রম ব্যহত হয় ফলে তারা এই কমিটিকে বাতিল করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। যার কারণে তারা বিভিন্ন মহলকে প্রভাবিত করে তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। এরই ফলশ্রুতিতে কমিটি বাতিলের জন্য বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আটাব কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্য বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগে বলা হয় আটাব অনলাইন থেকে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আটাব অনলাইন বর্তমান কমিটির সময়ে তৈরী হয়নি এবং আটাব অনলাইনের কার্যক্রমও অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান কমিটি আটাব অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শেয়ার হোল্ডারদের অনেক টাকা আত্মসাৎ করার যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা সর্ম্পূন মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। যা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রমাণসহ প্রেরণ করা রয়েছে। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেসব দালিলিক প্রমাণ এড়িয়ে গেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কোনো প্রমাণিত অভিযোগ না থাকার পরেও তা আমলে নেওয়ায় এটা বোঝা যায় যে, মহাপরিচালক ট্রেড অর্গানাইজেশন এর জারিকৃত এই নির্দেশনা কোনভাবে প্রভাবিত। আটাবের কমিটি বাতিলে গভীর ষড়যন্ত্র এবং প্রশাসনিক মবের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আর এমন একটি সংগঠনের অভিযোগ আমলে নেয়া আটাব সদস্যদের মধ্যে আরো বেশি সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে আটাবের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে যে মানববন্ধনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা অবৈধ টিকেট সিন্ডিকেটদের ভাড়াটে লোকজন দিয়ে পুরোপুরি সাজানো এবং বানোয়াট। ওই মানবন্ধনে ১/২ জন ব্যতীত আটাবের কোনো সদস্য উপস্থিত ছিল না। বর্তমান কমিটিকে হেয় করতে মানববন্ধনের নাটক সাজানো হয়েছিলো। অফিস আদেশে আটাব সংস্কার পরিষদ নামে একটি সংগঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা একটি ভূইফোঁড় সংগঠন এবং এর কোনো নিবন্ধন নেই এবং টিকেট সিন্ডিকেটকারীরই এই আটাব সংস্কার পরিষদ এর সদস্য। এরা সম্পূর্ন পরিকল্পিতভাবে সকল স্তরে নাটক ও ভাড়াটে লোকের মাধ্যমে আটাব কমিটিকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে কমিটিকে অপসারণ করে এয়ার টিকিট মার্কেটে পুনরায় তাদের সিন্ডিকেশনের প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

আমরা সরকারের কাছে এই সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার জন্য আপিল করেছি। আশা করছি সরকার সকল তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করবেন।

আটাব কমিটি দেশের জনসাধারণ ও প্রবাসীদের জন্য এয়ার টিকিটের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার ও সকল ট্রাভেল এজেন্সিরদের ব্যবসা করার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।


আমার বার্তা/জেএইচ