শিক্ষকদের কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি

প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩, ১৭:১৭ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট।

অবস্থান কর্মসূচির ৩০তম দিন আজ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি করে আসছে এ সংগঠনটি। এ অবস্থান কর্মসূচির আহবায়ক ছিলেন অধ্যক্ষ মাইন উদ্দিন ও সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন।

দীর্ঘ দিন ধরে যে সকল শিক্ষক-কর্মচারীগণ জাতীয় প্রেক্লাবের সামনে অবস্থান করে কর্মসূচিকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

পবিত্র রমজান মাস রোজা রেখে ও যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের ত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। লাগাতার কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে অনেক শিক্ষক কর্মচারি অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে বা নিজ গৃহে চিকিৎসাধীন আছেন। অসুস্থ শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য গত শুক্রবার বাদ জুম্মা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত মসজিদসমূহে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি ১২ থেকে ১৬ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তিন ঘণ্টার কর্মবিরতিও পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষক কর্মচারীরা বলেন, স্বাধীনতার একান্ন বছর পরেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক বৈষম্য রয়েছে। বৈষম্য গুলোর মধ্যে বাড়ি ভাড়া ,উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, পদোন্নতি না থাকা, হাউজ লোন না পাওয়া, বদলী প্রথাসহ চাকরি শেষে পেনশন প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রতি মাসে বেতনের ১০ ভাগ করে কেটে রাখলেও অবসরের পর যথাসময়ে টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। অনেকে টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। বাড়িভাড়া নামমাত্র ১ হাজার টাকা ও চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা ও উৎসব ভাতা বেতনের ২৫ ভাগ পান। বিশ্বের কোনো দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা এমন নাই বলে দাবী করেন তারা।

সারা দেশ থেকে আসা শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্সিপাল দেলাওয়ার হোসেন আজীজী, আবুল কালাম আজাদ, জিল্লুর রহমান বাদল, মো. আরিফুর রহমান, রবিউল উসলাম, তোফায়েল সরকার, নয়ন মোর্শেদ, নজরুল ইসলাম, মানিক মিয়া, রিপন শিকদার, মেসবাহ উল হাসান প্রমুখ।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণে প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালা। বক্তাগণ জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত রাজপথে অবস্থানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে ও পাশাপাশি আরও কোঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেওয়া হয়। 

এবি/ জিয়া