প্রধান উপদেষ্টা

সিভিল সার্জনরা চাইলে সেবার মান ২৫ শতাংশ উন্নতি সম্ভব

প্রকাশ : ১২ মে ২০২৫, ১২:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

ড. মুহাম্মদ ইউনূস সিভিল সার্জন সম্মেলনে বক্তব্য দেন : ছবি সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সিভিল সার্জনরা মন থেকে চাইলে সীমিত সম্পদের মধ্যেও স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবার মানের ২৫ শতাংশ উন্নতি সম্ভব। স্বাস্থ্যখাতে যে নিয়ম-কানুন রয়েছে তা প্রতিপালন করলেই এ উন্নতি সম্ভব।

সোমবার (১২ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা  বলেন, ‘জনবল ও যন্ত্রপাতিসহ সম্পদের সীমাবদ্ধতার দোহাই দিয়ে হাত-পা গুটিয়ে থাকলে চলবে না। যা রয়েছে তা দিয়েই চিকিৎসা সেবা দিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।’

দেশে প্রথমবারের মতো সিভিল সার্জন সম্মেলন আয়োজনের সুফল পাওয়া যাবে সেই আশা প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এতদিন কেন সিভিল সার্জন সম্মেলন হয়নি তা বোধগম্য নয়। এ সম্মেলনের মাধ্যমে সিভিল সার্জনদের মধ্যে সরাসরি দেখা-সাক্ষাৎ হবে, কথাবার্তা হবে, অনেক সমস্যা সম্পর্কে অবহিত ও নিষ্পত্তি হবে।’

দেশের স্বাস্থ্য খাত মেরামতের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের আদলে প্রথমবার সিভিল সার্জন সম্মেলন হচ্ছে। সোম ও মঙ্গলবার এ দুদিন সিভিল সার্জন সম্মেলন হবে।

এই সম্মেলনে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে পরামর্শ শুনবেন এবং দিকনির্দেশনা দেবেন সংশ্লিষ্টরা। কার্য অধিবেশনগুলো স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিবসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা নানা দিকনির্দেশনা দেবেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতি বছর ৬৪ জেলার ডিসিদের নিয়ে ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জেলার নানা বিষয় উঠে আসে। এবার সেই আদলে ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য প্রশাসকদের নিয়ে প্রথমবার সিভিল সার্জন সম্মেলন হচ্ছে।

দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আগে জেলার স্বাস্থ্যসেবার সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলো স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়। সিভিল সার্জনরা তাদের মতামত মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন।
 
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সম্মেলনে দেশের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে মানুষের অসন্তোষ ও নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে এই সম্মেলনে। এতে স্বাস্থ্য খাত ঢেলে সাজানোর নানা কৌশল নিয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এতে করে জেলার স্বাস্থ্যসেবা কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার পথ সুগম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


আমার বার্তা/জেএইচ