বিদ্যুতে অবকাঠামো ও সংযোগে অগ্রগতি হলেও গঠনগত সমস্যা রয়ে গেছে

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ১৪:৪৪ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

আলোচনা সভায় ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম।

বিদ্যুতের অবকাঠামো ও সংযোগে অগ্রগতি হলেও গঠনগত সমস্যাগুলো এখনো রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন এম শামসুল আলম।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ক্যাব কর্তৃক আয়োজিত জ্বালানি সুবিচারে বাংলাদেশ জ্বালানি রূপান্তর নীতি ২০২৪ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ৯৮ শতাংশ পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ থাকা মানেই জ্বালানি সুবিচার নয়। অনেক গ্রামীণ ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী ঘন ঘন লোডশেডিং, ভোল্টেজ সমস্যা এবং চড়া মূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

এম শামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশে জ্বালানি সুবিচারের সংকট কেবল কারিগরি সমস্যা নয়; এটি অধিকার, সাম্য এবং সুশাসনের প্রশ্ন। দুর্নীতি, ব্যয়বহুল সেবা, পরিবেশ ধ্বংস ও বর্জনমূলক নীতি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করছে।

তিনি বলেন, দেশকে এখন একটি সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে হবে-কেন্দ্রীয়, জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর ও প্রভাবশালী গোষ্ঠী-নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় এগিয়ে যাবে, নাকি ন্যায্য, গণতান্ত্রিক ও টেকসই জ্বালানি রূপান্তরের পথে হাঁটবে।

তিনি আরও বলেন, জ্বালানি খাতের দুর্নীতি দূর করা, গণবান্ধব নীতির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা এবং ন্যায়সঙ্গত জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে স্বচ্ছ নজরদারি ও পক্ষপাতহীন সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করা সম্ভব।

একটি দক্ষ একাডেমিক ও গবেষণা সম্প্রদায় যদি এআই-ভিত্তিক সমাধানে অবদান রাখে এবং তা ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তাহলে সরকার জ্বালানি খাত ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। এতে জনগণের জ্বালানি অধিকার সংরক্ষণ হবে এবং জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত হবে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক জনাব শামসুল হুদা এবং ক্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু।


আমার বার্তা/এমই